স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ নভেম্বর : বিশালগড়ে যাত্রীবাহী বাস আটকে ছিনতাই এবং মারধোরের ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতে আবারো দুষ্কৃতীরা মাথাচাড়া দিয়েছে। এবার সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে প্রবেশ করে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় নিজেদের ফরেস্টারের পরিচয় দিয়ে পর্যটককে মারধর করে ছিনিয়ে নেয় মোবাইল ফোন সহ নগদ অর্থ। এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বৃহস্পতিবার দুপুরের নাগাদ।
এদিন দুপুরে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে ঘুরতে এসে দুই পর্যটক। জানা যায়, কুমারঘাট থেকে নয়ন সরকার নামে এক পর্যটক তার বান্ধবীকে নিয়ে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে টিকেট কেটে প্রবেশ করে। দীর্ঘক্ষণ তারা সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে ঘোরাফেরা করে ফেরার পথে শাকিল খান নামে এক যুবক প্রথমে পর্যটকদের কাছে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের রেঞ্জ অফিসার পরিচয় অভয়ারণ্যে মধ্যে জোর জবরদস্তি করে মারধর করে ৩ হাজার টাকা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। এমনকি তাদের কাছ থেকে মোবাইলটি নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার পথে পর্যটক নয়ন সরকার এবং তার সাথে থাকা বান্ধবী চিৎকার শুরু করতে মোবাইলটি ফেলে রেখে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা।
এমন সময় ফার্স্ট গেইটের সামনে থাকা অন্যান্য পর্যটকরা বিষয়টি দেখতে পেয়ে দৌড়ে ছুটে আসতেই দুষ্কৃতি শাকিল খান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে বিশালগড় থানার পুলিশ ও সিপাহীজলা ফরেস্ট অফিসার সোহেল মিয়া খাদিম। এদিকে দুষ্কৃতিকারী ছিনতাইবাজ শাকিল খান ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যাওয়ার পূর্বে পর্যটক নয়ন সরকারকে বলে যান যদি এই বিষয়ে কাউকে কিছু বলেন তাহলে তাকে প্রাণে মেরে ফেলবেন। ফরেস্ট্র অফিসার তৎক্ষণাৎ মোবাইল নাম্বারটি নিয়ে তাকে ফোন করলে সে আসছে বলে জানায়। জানা যায় তার বাড়ি বিশালগড় নাড়াউড়া টিলা এলাকায়।
সে প্রতিনিয়ত সিপাহীজলা ঘুরতে আসা বিভিন্ন পর্যটকদের প্রতিনিয়ত লুটে নিচ্ছে। শাকিল খানের এই ধরনের কাজকর্মের সাথে সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের থাকা কিছু বন কর্মীরাও জড়িত রয়েছে বলে মনে করছেন পর্যটকরা। পূর্ব বিশালগড় সিপাহীজলা নৌকা ঘাট এলাকায় ঘুরতে আসা একাধিক পর্যটকদের কাছ থেকেও বিভিন্ন জিনিসপত্র ছিনতাই করে নিয়ে যান শাকিল খান। অভিযুক্ত শাকিল খানকে গ্রেফতার করতে মাঠে নামে পুলিশ। সিপাহীজলা অভয়ারণ্যের মতো জায়গায় যদি পর্যটকরা ছিনতাইয়ের ও মারধোরের শিকার হয় তাহলে কিভাবে পর্যটকরা সিপাহীজলা অভয়ারণ্যে ঘুরতে আসবে। যেখানে মানুষ নিরাপদ নয় সেখানে মানুষ আসতেও ভয় পায়। এই সমস্ত ঘটনার সাথে একাংশ বন কর্মীরা জড়িত রয়েছে এমনটি দাবি পর্যটকদর।