স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৬ নভেম্বর : প্রাক্তন মন্ত্রী পবিত্র করের ভাই প্রশান্ত করকে জমি সংক্রান্ত বিষয় ঘিরে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। গ্রেফতারের পর গত দুই নভেম্বর জামিনের আবেদন করে আইনজীবী পিটিশন দাখিল করা হয়। তারপর আদালত শুনানির পর বুধবার মামলার তলব হয়। তারপর সিজিএম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। এদিন আদালতে কিছু বিষয় তুলে ধরার পর আদালত জামিনের সিদ্ধান্ত নেন। ২০১৮ সালে জানুয়ারি এবং মে মাসে প্রশান্ত কর সেই মহিলার ব্যাংক একাউন্টে মোট সাড়ে ১২ লক্ষ টাকা দিয়েছিল।
আর এটা প্রশান্ত কর গ্রেপ্তারের সাথে সাথে পুলিশকে বলেছিল। কিন্তু পুলিশ এ বিষয়ে কোন তদন্তি করে নি। বরং পুলিশ মুখরোচক গল্প বানিয়ে আদালতে তুলে প্রশান্ত করকে। তারপর সেদিন পুলিশ রিমান্ড আদালত থেকে নাকচ করে দেওয়া হয়। বুধবার শুনানের সময় এই সমস্ত বিষয় তুলে ধরা হয়। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো সেই মহিলা এমন কোন তথ্য দিতে পারে নি যে প্রশান্ত করকে তিনি টাকা দিয়েছেন। অর্থাৎ পুলিশ কোন চার্জশিট জমা দিতে না পারায়, জামিন মঞ্জুর হয়ে যায় প্রশান্ত করের। বৃহস্পতিবার তিনি বের হয়ে যাবেন বলে জানান আইনজীবী। উল্লেখ্য, ২০ অক্টোবর অপুরানী সরকার রায় নামে এক মহিলা পূর্ব আগরতলা থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। অভিযোগ পত্রে তিনি উল্লেখ করেন চন্দ্রপুর ও খয়েরপুরের মাঝামাঝি স্থানে জাতীয় সড়কের পাশে তার নামে কিছু জায়গা রয়েছে।
তিনি সেই জায়গা বিক্রয় করতে চাইলে তার কাছে জমি মাফিয়ারা দুই কোটি টাকা দাবি করেছে। এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পূর্ব আগরতলা থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় একটি মামলা রুজু করা হয়েছে। তারপর খোঁজখবর নিয়ে জমি মাফিয়া পরেশ ঘোষের নাম জানা যায়। যথারীতি পরেশ ঘোষকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পরেশ ঘোষকে পুলিশ রিমান্ডের আবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করে পুলিশ। আদালতের নির্দেশে পরেশ ঘোষ বর্তমানে পুলিশ রিমান্ডে রয়েছে। পুলিশ রিমান্ডে পরেশ ঘোষকে জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করার পর পরেশ ঘোষ এক এক করে তার সঙ্গীসাথিদের নাম উগড়ে দেয়। যার মধ্যে রয়েছে সিপিআইএম নেতা পবিত্র করের ভাই প্রশান্ত করের নাম। তারপর গত বৃহস্পতিবার সকালে পুলিশ যথারীতি পরেশ ঘোষকে নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।