স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : আবারো গুরুতর অভিযোগ উঠল এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। নেশা মুক্তি কেন্দ্রে দুই যুবককে হত্যার চেষ্টা করা হয়েছে বলে অভিযোগ তুলেন আহত এক যুবক। ঘটনা বিশ্রামগঞ্জে জেলা শাসক কার্যালয় সংলগ্ন এলাকার রিলিফ নেশা মুক্তি কেন্দ্রে। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, নেশা মুক্তি কেন্দ্রের যুবককে দিয়ে বাথরুম পরিষ্কারের কাজ করানোর চেষ্টা চলছিল।
নির্দিষ্ট সময় মতো তারা কাজ সম্পন্ন করতে না পারায় তাদের দ্বিতল থেকে ধাক্কা দিয়ে নিচে ফেলে দেয়। তারপর স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে নিয়ে যায় বিশ্রামগঞ্জ হাসপাতালে। হাসপাতালে আসার পর দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে রেফার করা হয় জিবি হাসপাতালে। বর্তমানে তারা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত এক যুবকের পরিবারের লোকজনদের বক্তব্য, কিভাবে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে তারা কিছুই বলতে পারছে না। নেশা মুক্তি কেন্দ্র থেকে তাদের জানানো হয়েছে হাসপাতালে আসার জন্য। হাসপাতালে এসে তারা অসুস্থ অবস্থায় পায় তাদের ঘরের ছেলেকে। আহত দুজনেরই মুখে, হাতে এবং পায়ে গুরুতর আঘাত লেগেছে। আহত দুজন বর্তমানে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। প্রশ্ন উঠেছে তাদের সুরক্ষার বিষয় নিয়ে। অতিরিক্ত ড্রাগস নেওয়ার এক মাস আগে সাগর দেববর্মা এবং তমাল জামাতিয়া।
ভর্তি সময় নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ২৫০০ টাকা দিতে হয়েছিল। প্রতি মাসের তাদের পরিবারের সাত হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা। তাদের প্রত্যাশা ছিল তারা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরবে। কিন্তু দেখা গেল অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে আসতে হয়েছে দুই যুবককে। বর্তমানে তারা জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এই ঘটনার নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের পরিষেবা নিয়ে। কারণ আগেও বহু নেশা মুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে হত্যার ও আহত করার অভিযোগ উঠেছে। অথচ প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোন ধরনের অভিযান চালানো হয়নি রাজ্যে ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠা নেশা মুক্তি কেন্দ্রগুলোতে। তবে দুই যুবকের আহত হওয়ার ঘটনা ক্রমশ রহস্যে দানা বেঁধেছে। এদিকে এই ঘটনা নিয়ে মুখ খুলেছেন রিলিফ ফাউন্ডেশনের বাড়ির মালিক। তিনি জানিয়েছেন মঙ্গলবার সকালে নেশা মুক্তি কেন্দ্রের জানালা ভেঙ্গে দ্বিতল থেকে ছয় জন পালিয়ে যাওয়ার সময় এই ঘটনা ঘটে। তাদের মধ্যে চারজন পালিয়ে গেছে এবং দুজন আহত হয়েছে।