Tuesday, November 5, 2024
বাড়িরাজ্যট্রাফিক কর্মীদের কর্তব্যের গাফিলতিতে নাজেহাল পথচারীরা, তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার স্মার্ট সিটি বাসী

ট্রাফিক কর্মীদের কর্তব্যের গাফিলতিতে নাজেহাল পথচারীরা, তিক্ত অভিজ্ঞতার শিকার স্মার্ট সিটি বাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ অক্টোবর : শহরের ট্রাফিক পরিষেবা একেবারে তলানিতে গিয়ে পৌঁছেছে। সকাল আটটা থেকে রাত ১০ টা পর্যন্ত আগরতলা শহরের ব্যস্ততম সড়ক গুলি নিত্য ট্রাফিক জ্যাম পরিলক্ষিত করে শহরবাসী। পরিষেবা যে কতটা মুখ থুবড়ে পড়েছে সেটা শহরবাসী প্রত্যক্ষ করছে। কারণ আগরতলা শহর স্মার্ট সিটির তাকমা লাগালেও এখন পর্যন্ত প্রশাসনিক কর্মীদের দুর্বলতায় বাস্তবে স্মার্ট সিটি হয়ে উঠতে পারছে না।

নাজেহাল পথচারীদের অবস্থা। উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৫ সালের ২৫ জুন দেশে স্মার্ট সিটি মিশন নামে প্রকল্পের সূচনা করেন। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির এই প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য ছিল দেশের ১০০টি শহরের জীবনযাত্রার মান উন্নত করা। এর মধ্যে ছিল আগরতলা শহর একটি। এই প্রকল্পের অন্যতম ছিল শহরের যানজট কমানো। আর এই যানজট কমাতে অত্যাধুনিক ট্রাফিক সিগন্যাল ব্যবস্থাও গড়ে তোলার। সে অনুযায়ী শহরে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হলেও এত বছরে কাজের কাজ কিছুই হয়নি। জনগণের পয়সা দিয়ে আগরতলা শহরের মোড়ে মোড়ে ট্রাফিক সিগন্যাল বসানো হলেও সেগুলি অধিকাংশই সিগন্যাল প্রায় সময় মুখ থুবড়ে পড়েছে। ফলে সে জায়গায় দাঁড়িয়ে টিএসআর এবং ট্রাফিক কর্মীদের দায়িত্ব পালন করতে হয়। কিন্তু টি এস আর জওয়ানরা ট্রাফিকের কাজে সম্পর্কে ওয়াকিবহাল না থাকায় আগরতলা শহরের সাধারণ রাস্তাগুলোর মধ্যেও ব্যাপক জ্যাম সৃষ্টি হচ্ছে। একাংশ ট্রাফিক কর্মী নিজেদের কর্তব্য ফাঁকি দিয়ে আবার টিএসআর জোয়ানদের দ্বারা লোক দেখানো ট্রাফিকের দায়িত্ব সামাল দেওয়ার চেষ্টা করছেন। মঙ্গলবার রাজধানীর মোটর স্ট্যান্ড এলাকায় লক্ষ্য করা গেছে ট্রাফিক জ্যামে মানুষ কাহিল, টিএসআর কর্মীরা ট্রাফিকের জ্যাকেট পরিধান করে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে লেজে গোবরে অবস্থা তৈরি করেছে।

আর এক ট্রাফিক কর্মী তার ট্রাফিক বুথে বসে মোবাইল দেখে সময় কাটাচ্ছেন। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে ট্রাফিক কর্মী থাকার পরেও শহরের এই হাল হকিকত। সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা দেখে পরবর্তী সময় তিনি বুথ থেকে বের হয়ে আসেন। মাথায় টুপি পড়ে লেগে যান তার দায়িত্বে। এভাবে আগরতলা শহরের ট্রাফিক জ্যাম কতটা নিয়ন্ত্রণে আসবে সেটাই এখন বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু গাড়ি চালক থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ সময়মতো গন্তব্যস্থলে পৌছাতে না পেরে অত্যন্ত তিতি বিরক্ত হয়ে পড়ছে। তবে প্রশ্ন হল এ ধরনের প্রশাসনিক কর্মীর দ্বারা শহর কি আদৌ স্মার্ট হতে পারবে। তবে বলার অপেক্ষা রাখে না স্মার্ট সিটি মিশন প্রকল্পের প্রত্যাশিত সমাপ্তির দিনক্ষণ আর বেশি দূর নয়। ২০২৫ সালের ৩১ মার্চ শেষ হতে চলেছে বাস্তবায়নের দিনক্ষণ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য