স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : উত্তর ত্রিপুরা জেলার ধর্মনগর মহকুমার মিশন টিলা স্থিত এলাকায় আর্যভট্ট বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হবার কিছুদিন পর থেকেই বিভিন্ন অভিযোগ উঠছে। এই অভিযোগগুলি প্রকাশ্যে আসতেই অভিযোগকারী ছাত্র-ছাত্রীদের উপর শুরু হয় প্রচন্ড মানসিক নির্যাতন বলে অভিযোগ। ছাত্র-ছাত্রীরা তাদের দাবি-দাওয়ার বিষয় নিয়ে জানতে চাইলে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়।
ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ, দুর্গা পুজোর পূর্বে এসব বিষয় নিয়ে অধ্যক্ষের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল। সে সময়ও ছাত্র-ছাত্রী এবং অধ্যক্ষের মধ্যে সৃষ্টি হওয়া ঝামেলা অনেক দূর পর্যন্ত পৌঁছে যায়। তারপরও ছাত্র-ছাত্রীদের সমস্যার কোন সূরাহা হয়নি। তাই আজ সেই দাবির বিষয় জানতে চাইলে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন একজন ডিরেক্টরকে আনা হয় ছাত্র-ছাত্রী এবং অভিভাবক অভিভাবিকাদের সাথে আলোচনার জন্য। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের ওই ডিরেক্টরকে আজ পর্যন্ত কোনদিন দেখা যায়নি। ছাত্র-ছাত্রী এবং ইউনিভার্সিটি কর্তৃপক্ষ যখন তর্ক বিতর্ক চলছিল ঠিক সেই সময় ইউনিভার্সিটি রেজিস্টার দীপক বাঞ্চার উত্তেজিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের বের হয়ে যেতে বলেন। বিশেষ করে জেলা পুলিশ সুপারের দোহাই দিয়ে দীপক বাবু বলেন তার কাছে নাকি অর্ডার কপি এসেছে এবং ছাত্র-ছাত্রীরা বিক্ষোভ দেখাতে পারবে না।
কিন্তু যেই অর্ডার কপি ছাত্র-ছাত্রীদের দেখানো হয় সেই অর্ডার কপি ছিল ভারতীয় নাগরিক সুরক্ষা সংহিতার ১৬৩ ধারা জারি করার অর্ডার কপি। প্রশ্ন হচ্ছে, কেন নতুন ডিরেক্টর উত্তেজিত হয়ে সভা ছেড়ে চলে গেলেন? অভিভাবকদের অভিযোগ এই ইউনিভার্সিটির শুরু হওয়ার পর থেকেই নানা সমস্যায় জর্জরিত। ইউনিভার্সিটি তে কোন লাইব্রেরির ব্যবস্থা ছিল না। ছাত্র-ছাত্রীদের চাপে পড়ে রাতারাতি লাইব্রেরি গড়ে উঠেছে। আজকে বিভিন্ন সমস্যার কথা নিয়ে ছাত্রছাত্রীরা শামিল হলে তাদের ১৬৩ ধারার নোটিশ দেখিয়ে কলেজ থেকে বের হওয়ার জন্য বলেন। বহু ছাত্র-ছাত্রী পরীক্ষায় বিভিন্ন বিষয়ে অকৃতকার্য হয়েছে। এ নিয়ে তারা সন্দেহ প্রকাশ করে বলেন, তারা অকৃতকার্য হয়েছে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে। এমনকি পুলিশ নিয়ে এসে ছাত্র-ছাত্রীদের লাঠিচার্জ করার জন্য চেষ্টা করে বলে অভিযোগ।