স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৯ অক্টোবর : দশমীর পরের দিন মঙ্গলবার মেলার মাঠ এলাকায় এক মোবাইলের দোকানে প্রবেশ করে রাহুল কৃষ্ণ রায় নামে এক যুবক ছুরি দিয়ে আঘাত করে হত্যা করে হরিশংকর সাহা নামে এক ব্যবসায়ীকে। এই ঘটনার পর নয়া রহস্য সামনে এসেছে শনিবার। ঘটনার পর আহত হয়েছিল অভিযুক্ত রাহুল কৃষ্ণ রায়। বর্তমানে সে জিবি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আহত যুবকের মা তিথি রায় দাবি করেন, মঙ্গলবার রাহুলকে মেলার মাঠ এলাকায় ডাক্তার দেখানোর জন্য নিয়ে আসা হয়েছিল। ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ি ফেরার সময় ওষুধ ক্রয় করার ফাঁকে সে পরিচিত হরিশঙ্কর সাহা দোকানে চলে যায়।
হরি শংকর সাহার ছেলে রমেশ সাহা চার থেকে পাঁচ বছর আগে রাহুলের কাছ থেকে ৮০ হাজার টাকা ধার নিয়েছিল। সেই টাকা মিটিয়ে দেয়নি রমেশ। তারপর এই বিষয়ে রমেশের পিতা হরিশংকরকে জানিয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন মাসে মাসে দু হাজার টাকা করে দিয়ে ছেলের ঋন পরিশোধ করে দেবে। কিন্তু এতদিনে পরিশোধ করেননি তারা। এ বিষয়টি রাহুলের মাথায় চেপে বসেছিল। সে সম্পর্কে অবগত ছিলেন না তিনি এবং তার স্বামী ফনী ভূষণ রায়। এর মধ্যে সে কর্মসংস্থানের জন্য কিছুটা মানসিকভাবে অবসাদগ্রস্ত ছিল। মঙ্গলবার তাকে ডাক্তার দেখাতে মেলার মাঠ আনলে সে হরিশংকরের দোকানে প্রবেশ করে এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। তারপর সবকিছু পুলিশের চোখের সামনে হলেও কোন ভূমিকা নেয় নি বলে অভিযোগ রাহুলের মার।
তিনি আরো বলেন, তারপর রাহুলকে মেলার মাঠ এলাকা থেকে মারধর করে জিবি হাসপাতালে আনে কিছু যুবক। তারপর জিবি হাসপাতালে কিছু যুবক তাকে মারধর করে বুকের মধ্যে রক্ত জমিয়েছে, বুকের পাঁজর, হাতের আঙ্গুল এবং পিঠের মেরুদন্ড ভেঙ্গে দিয়েছে। পাশাপাশি একটি চোখ নষ্ট করে সারা জীবনের জন্য তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে। সবটাই জিবি হাসপাতালে সিসি ক্যামেরার নিচে হয়েছে। কিন্তু কারা এই ঘটনা করেছে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানতে পারেননি। তবে আশেপাশে মানুষজন উনাকে এ বিষয়ে জানিয়েছেন। তিনি বলেন যদি রমেশ এবং তার বাবা হরিশংকর ঋণ যথা সময়ে পরিশোধ করে দিত তাহলে তার ছেলে পঙ্গু হত না এবং সেই ব্যবসায়ী প্রাণে বেঁচে যেতেন। তিনি পাল্টা বিচার চেয়ে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এদিন। তবে প্রশ্ন হলো কেন এ বিষয়টি নিয়ে জল ঘোড়া হচ্ছে। পুলিশ যথারীতি তদন্তে নেমে এখন পর্যন্ত রমেশকে জিজ্ঞাসাবাদ চালায়নি। অপরদিকে অভিযুক্ত যুবককে পুলিশ নিজেদের দায়িত্বে নিয়ে যখন জিবে হাসপাতালে আনে তখন কিভাবে তার উপর আবার চড়াও হয়েছে যুবকরা? বর্তমানে বিচার চাইছে অভিযুক্ত যুবকের মা। মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লাড়ছে অভিযুক্ত রাহুল।