স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৯ অক্টোবর :সারা বছর না শোধরালেও, দুর্গাপূজার সময় শোধরায়নি আগরতলা শহরে বসে কোটি কোটি টাকা রোজগার করা কিছু রেস্টুরেন্ট এবং হোটেলের মালিক। এক প্রকার ভাবে মানুষকে বিষ খাইয়ে চলেছে সেসব রেস্টুরেন্ট এবং হোটেল কর্তৃপক্ষ। সম্প্রতি আগরতলা শহরের নামিদামি পিৎজা হাটের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ তুলেছে বড়জলা এলাকার এক দশম শ্রেণীর ছাত্র। আর এই ছাত্রের কাছ থেকে অভিযোগ পেয়ে অবশেষে অভিযানে নামতে বাধ্য হলেন সদর মহকুমা প্রশাসনের লিগেল মেট্রলজি এবং খাদ্য, জনসংভরন এবং ক্রেতা বিষয়ক দপ্তরের আধিকারিকরা।
আগরতলা শহরের পিৎজা হাটে অভিযান চালায় তারা। বুধবার দুপুরে অভিযান চালিয়ে অভিযোগকারী ছাত্রের বক্তব্যের সততা পায়। তারা লক্ষ্য করেন বহু খাবার রয়েছে যেগুলি প্যাকেট জাতীয় খাবার। এই খাবারের প্যাকেটের মধ্যে খাবার তৈরি করা এবং মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার কোন দিনক্ষণের উল্লেখ নেই। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো বহু পুরনো মাংসের প্যাকেট সহ অন্যান্য খাবার ফ্রীজে মজুদ রাখা হয়েছে। আরো লক্ষ্য করা গেছে বিখ্যাত পিৎজা হাটের মধ্যে পিৎজা পরিমাপের কিছু সমস্যা রয়েছে। একই সাথে ওজন পরিমাপ যন্ত্রের ও সমস্যা রয়েছে।
সার্বিকভাবে দেখতে গেলে এই বিষয়গুলি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ ক্রেতারা। মুখ ফুটে কিছু বলতেও পারে না তারা। আশঙ্কা হয়তো কিছু খাবারের মেয়াদ অনেক দিন আগেই শেষ হয়ে গেছে। কিন্তু দশম শ্রেণীর ছাত্রের অভিযোগ পেয়ে খাদ্য দপ্তরের আধিকারিক নির্মল আধিকারির কুম্ভ-নিদ্রা ভেঙেছে। তারপরেই প্রশাসনিক অভিযান শুরু হয়েছে বলে জানান আধিকারক। কিন্তু প্রশ্ন হল কেন বারবার প্রশাসনকে মনে করিয়ে দিতে হয় তাদের দায়িত্ব কর্তব্যের কথা। এগুলি তাদের নিয়মিত দায়িত্ব ও কর্তব্যের মধ্যে পড়ে। গত কয়েক মাসে দেখা গেছে সাধারণ মানুষের পক্ষ থেকে অভিযোগ ছাড়া অভিযান চালায় না আধিকারিকরা। কিন্তু সবচেয়ে বড় বিষয় হলো দুর্গাপূজা শুরু হয়েছে। আগরতলা শহরের বিভিন্ন হোটেলের মধ্যে কি ধরনের খাবারের রমরমা চলছে। প্রশাসনিক ভাবে পূজার কয়েকদিন আগে থেকেই অভিযান হোটেল গুলির কিচেন রুমে শুরু করার কথা থাকলে তারা কোনরকম অভিযান করেনি। এবং পুজোতে এই খাবারগুলি মানুষকে পরিবেশন করে চলেছে হোটেল কর্তৃপক্ষ। এবং এই খাবারগুলি কতটা মানুষকে অসুস্থ করে ফেলতে পারে তার কোন ধারণা নেই হোটেল কর্তৃপক্ষের।