স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ অক্টোবর : রাজ্যে জুট মিল কর্মচারীরা শুধুমাত্র তাদের স্বার্থ নিয়ে দাবি তুলে আন্দোলন সংঘটিত করেছে। কখনো রাজ্যে পাট চাষ কিভাবে বাড়ানো যায় তা নিয়ে সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি তুলতে দেখা যায়নি। শুক্রবার রাজধানীর ভগৎ সিং যুব আবাসে ত্রিপুরা প্রাকৃতিক গ্যাস মজদুর সংঘের পক্ষ থেকে আয়োজিত রক্তদান শিবিরে বক্তব্য রাখতে গিয়ে এই কথা বলেন মন্ত্রী টিংকু রায়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় জুট মিল নিয়ে শ্রমিকদের আন্দোলন যখন শুরু হয়েছিল তখন লক্ষ্য করা যায় শুধুমাত্র শ্রমিক স্বার্থ নিয়ে দাবি তুলতে।
রাজ্যে কিভাবে পাট চাষ বাড়ানো যায় তা নিয়ে শ্রমিকরা কখনো আন্দোলন করেনি। শ্রমিকরা যদি পাট চাষীদের অগ্রিম টাকা দিয়ে সহযোগিতা করার জন্য সরকারের উদ্দেশ্যে দাবি তুলতো তাহলে জুট মিল আজও ত্রিপুরায় থাকতো। কারণ তৎকালীন সময়ে ত্রিপুরায় পাট আনা হতো পশ্চিমবঙ্গ থেকে। তারপর পাট দিয়ে ব্যাগ তৈরি করে আবার রাজ্যের বাইরে পাঠাতে হতো। এতে করে সরকারের অনেক টাকা ব্যয় হতো। সরকার ভর্তুকি দিয়ে হাঁপিয়ে উঠেছিল। যার কারণে ত্রিপুরা রাজ্যে একটা সময় জুট মিল বন্ধ হয়ে পড়ে। অপরদিকে চা শিল্প উন্নত না হওয়ার কারণ হল সরকার ত্রিপুরা রাজ্যে চা শ্রমিকদের শিক্ষা, বাসস্থান, খাদ্য, স্বাস্থ্য ও পানীয় জল ইত্যাদি নিয়ে কখনো ভাবেনি। দীর্ঘ ৩৫ বছর বিভিন্নভাবে তারা বঞ্চনার শিকার হয়ে শেষ পর্যন্ত কাজ ছেড়ে শহরমুখী হয়েছিল।
বর্তমান সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর তিন হাজার চা শ্রমিক পরিবারকে জমির পাট্টা দেওয়া হয়েছে। সুতরাং শ্রমিকদের নিজের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি শিল্পের স্বার্থ দেখা প্রয়োজন এবং মালিক ও সরকারের নিজের স্বার্থ দেখার পাশাপাশি শ্রমিকদের স্বার্থের কথা চিন্তা করা প্রয়োজন। নির্দিষ্ট সময়ের পর শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধি করতে হয়। নাহলে এ ধরনের সমস্যা থেকেই রাজ্যের শিল্পে ব্যাঘাত হত। এমনটাই অভিমত ব্যক্ত করলেন মন্ত্রী। মন্ত্রী আরো বলেন, টিএনজিসিএল -এর মতো আরও একটি সংস্থা রাজ্যে আগামী দিন কাজ করবে। এতে কাজের পরিধি বাড়বে। বর্তমান ভারতের সাথে তাল মিলিয়ে কাজ করতে হবে সংস্থাকে। তাহলেই উন্নয়ন সম্ভব বলে অভিমত ব্যক্ত করবেন মন্ত্রী।