স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ অক্টোবর : প্রশাসনিক আধিকারিকদের তদারকির যথেষ্ট অভাবে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বারোটা বেজে যাচ্ছে। ঘড়িতে দুপুর বারোটা, কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দরজা জানালা সব খোলা। ভেতরে ঘুমাচ্ছে ছাগল! এই দৃশ্য প্রত্যক্ষ করা গেল বৃহস্পতিবার। এদিন অত্যন্ত বৃষ্টির কারণে বাজার থেকে বাড়ি ফেরার সময় কয়েকজন যুবক অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে সামনে গিয়ে দাঁড়ায়।
তখন তারা অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের রান্নাঘরের ভেতর থেকে ছাগলের ডাক শুনতে পায়। ভেতরে প্রবেশ করে দেখে কয়েকটি ছাগল ঘুমাচ্ছে। তারপর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের পঠন পাঠনের কক্ষে গিয়ে লক্ষ্য করে ফাঁকা, চেয়ার টেবিল, বই খাতা এবং নথিপত্র যত্রতত্র পড়ে আছে। তারপর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সাইনবোর্ডের মধ্যে তারা লক্ষ্য করেন লেখা আছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের কর্মীর নাম আজ বাহার বেগম এবং সহকর্মীর নাম আনার কলি। তারা বর্তমানে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বে আছে কিনা সেটা জানা নেই, তবে যারাই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বে আছে তাদের কতটা দায়িত্ব জ্ঞান বোধের অভাব রয়েছে সেটা এদের মুখ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। কোন কারণবশত যদি চোর থাবা বসায় তাহলে এর জবাব দেবে কে? এমনকি থালা বাসন থেকে শুরু করে খাবার সামগ্রীয় খোলা পড়ে আছে।
এতে যদি কোনরকম বিষক্রিয়া হয় তাহলে তার দায়ভার কে নেবে? মেলাঘর সমাজ কল্যাণ ও সমাজ কল্যাণ দপ্তরের অফিসের আওতাধীন কালাপানিয়া অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের বেহাল দৃশ্য বহু পুরনো। সবকিছু আধিকারিকরা জেনে শুনে কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে না। কিন্তু অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলি তৈরি করা হয়েছে এলাকার কচিকাঁচা এবং গর্ভবতী মহিলাদের স্বার্থে। কিন্তু কতটা দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন হয় সেটা স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ না করলে বিশ্বাস করতে পারবে না। যার কারণে দিন দিন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার গুলিতে কচিকাঁচাদের পাঠাতে চাইছে না অভিভাবক মহল।