স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৯ সেপ্টেম্বর : কফিনবন্দি হয়ে রাজ্যে ফিরলো প্রয়াত প্রাক্তন আইজি এবং লেখক অরিন্দম নাথের নিথর দেহ। বিমানবন্দর থেকে রবিবার কফিনবন্দি দেহ রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে আনা হয়। সেখানে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক, সাহিত্যিক ও বিশিষ্টজনেরা অন্তিম বারের মতো অরিন্দম নাথকে শ্রদ্ধা জানান। পরিবার-পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানায়। মৃত্যু কালে অরিন্দম নাথের বয়স হয়েছিল ৬২ বছর। কর্মজীবনে তিনি আপোষহীন নির্ভীক সৈনিক। গত একমাস আগে তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। তারপর চিকিৎসা নিতে ব্যাঙ্গালোরে যান। শনিবার সকালে ১১ টায় ব্যাঙ্গালুরু একটি হাসপাতালে তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন।
এই খবর রাজ্যে এসে পৌঁছাতেই শোকের ছায়া নেমে আসে রাজ্যের লেখক এবং সাহিত্যিক জগতের সাথে জড়িত সকলের মধ্যে। একই সাথে শোকের ছায়া নেমে আসে পুলিশ মহলে। এমন একজন উজ্জ্বল ব্যক্তিত্বের প্রয়ান সকলকেই বাকরুদ্ধ করে দিয়েছে। রবিবার রাজ্যে দেহ এসে পৌঁছাতেই সকলে রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ছুটে যায়। শেষবারের মতো শ্রদ্ধা জানায়। অপরদিকে রাজ্য পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিক এদিন রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে ছুটে আসেন। কারণ ত্রিপুরা পুলিশ সার্ভিস অফিসার হিসেবে দীর্ঘদিন ত্রিপুরায় সুপরিচিত পুলিশ অফিসার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন অরিন্দম নাথ। দক্ষতার সাথে কর্মজীবন তিনি অতিক্রম করেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি ধর্মানগরে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। ধর্মনগর পদ্মপুরে একটি পাঠশালায় তাঁর হাতে কড়ি।
তারপর বীর বিক্রম ইনস্টিটিউশন ধর্মনগর থেকে মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক উত্তীর্ণ হয়ে মহারাজা বীর বিক্রম কলেজে পদার্থবিদ্যায় স্নাতক হন। তারপর ১৯৮৬ সালে কমলপুর দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয় পদার্থবিদ্যার শিক্ষক হিসেবে কাজে যোগ দেন। পরবর্তী সময়ে ১৯৯০ সালের ত্রিপুরা পুলিশের সার্ভিসের তিনি যোগ দেন। তারপর বিভিন্ন সময় পুলিশের সদর কার্যালয়, জেলা পুলিশ কার্যালয় এবং ট্রাফিক পুলিশের বিভিন্ন শাখায় তিনি দায়িত্ব পালন করেছেন। রাজ্যে যখন সন্ত্রাসবাদের সমস্যা চলছিল তখন তিনি ধলাই জেলায় পুলিশ সুপারের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সবশেষে বলা যায় রাজ্য একজন গুণী ব্যক্তিকে হারিয়েছে।