স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৭ সেপ্টেম্বর : বাংলাদেশে সংখ্যালঘুদের উপর আক্রমণের ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় ফোরাম ফর প্রোটেকশান অফ মাইনোরিটিস ইন বাংলাদেশ। শুক্রবার আগরতলা প্রেস ক্লাবে সাংবাদিক সম্মেলন করে সংগঠনের সভাপতি সুবল কুমার দে বলেন, গত জুলাই মাসে বাংলাদেশের ঢাকায় ছাত্ররা চাকরির কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করে।
এই আন্দোলন ক্রমেই জোরদার হয়ে উঠে। ফলে অফিস আদালত, দোকানপাট ইত্যাদির উপর আক্রমণ শুরু হয়। দেশের পুলিশ তা প্রতিরোধ করতে গেলে তাদের উপরও আক্রমণ শুরু হয়। ফলে আন্দোলন আরও তীব্র ও হিংসাত্মক হয়ে উঠে। এই আক্রমণ বহু মানুষ হতাহত হয়। দেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত পাঁচ আগস্ট দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়। তখন থেকেই আন্দোলন অভিমুখ পাল্টে যায়। গভীর উদ্বেগের সাথে লক্ষ করা গেছে, গোটা আন্দোলন আচমকা দেশের সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধে চলে যায়। তখন থেকেই সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর ভাঙ্গা শুরু হয়। তাদের উপর আক্রমণ শুরু হয়।
কিছু সংখ্যক সংখ্যালঘু সম্প্রদাযে়র মানুষকে হত্যা করা হয়। কিছু মানুষকে ধর্মান্তরিত করা হয়। তার থেকেও বেশি উদ্বেগের বিষয়, এক উল্লেখযোগ্য সংখ্যার সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মহিলারা তাদের লালসার শিকার হতে হয়েছে। আশ্চর্যের বিষয়, এত সব অমানবিক ও পাশবিক নির্যাতনের পরেও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে কোনো সদর্থক প্রতিরোধ দেখা যায় নি। এর প্রতিবাদে গত ২৪ সেপ্টেম্বর আগরতলা প্রেস ক্লাবে মিলিত হয়ে একটি সংগঠন গড়ে তোলা হয়েছে। সংগঠনের নাম দেওয়া হয়েছে ‘ফোরাম ফর প্রোটেকশান অফ মাইনোরিটিস ইন বাংলাদেশ। আগামী ২৯ আগস্ট আগরতলা প্রেস ক্লাবের সামনে থেকে একটি মিছিল সংগঠিত করে এ ধরনের ঘটনার প্রতিবাদ জানানো হবে। সংগঠনের দাবি বাংলাদেশের সংখ্যালঘুদের উপর এই পাশবিক আক্রমণ অবিলম্বে বন্ধ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারের প্রধানকে জানানো হবে। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কে জানানো হবে। একই সাথে জাতিসংঘকে জানানো হবে। সারা রাজ্যবাসীকে এগিয়ে আসার জন্য আহ্বান জানান তিনি।