স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ সেপ্টেম্বর : নিজের একমাত্র নাবালক পুত্র সন্তানের প্রাণ বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি জানালেন অসহায় মা বাবা। জানা গেছে মেলাঘর আর ডি ব্লকের অন্তর্গত তেলকাজলা গ্রাম পঞ্চায়েতের পাঁচ নং ওয়ার্ডের আশীষ কুমার ভৌমিকের ১৪ বছরের একমাত্র পুত্র সন্তান কিষান ভৌমিকের গত ৫-৬ মাস আগে চোখের সমস্যা দেখা দেয়। পরে আশিষ কুমার ভৌমিক জিবি হাসপাতাল সহ গৌহাটিতে নিয়ে গিয়ে ছেলের চক্ষু চিকিৎসা করেন। কিন্তু চিকিৎসকরা তার চোখের কোন সমস্যা খুঁজে পায়নি।
তার কিছুদিন পর কিষান ভৌমিক ধীরে ধীরে অসুস্থ হতে থাকে। তার এই অসুস্থতার পর জিবি হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করানো হয়। হাসপাতালের চিকিৎসকরা তার কোন রোগ খুঁজে না পাওয়ার পর তাকে কলকাতা এবং ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার শারীরিক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর চিকিৎসকরা কিষান ভৌমিকের শরীরে এক বিরল রোগের সন্ধান পায়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন কিষান ভৌমিকের ভাইরাল ইনফেকশন হয়েছে, চিকিৎসকদের ভাষায় এই রোগের নাম এস এস পি ই। চিকিৎসকরা আশীষ কুমার ভৌমিককে স্পষ্টভাবে জানিয়ে দেন এটা এমনই একটি অদ্ভুত রোগ যার কোন ঔষধ ভারতবর্ষে এখনো আবিষ্কৃত হয়নি। সেখান থেকে আশীষ কুমার ভৌমিক তার ছেলেকে বাড়িতে নিয়ে আসেন। বাড়িতে নিয়ে আসার পর গত কিছুদিন ধরে তার কথা বলা বন্ধ হয়ে গেছে। ঘরের মধ্যে ছটপট করছে। এই অবস্থায় কিষানের বাবা আশীষ কুমার সাহা ছেলের এই অবস্থা দেখে দিশেহারা হয়ে পড়েন।
অবশেষে নিরুপায় হয়ে আশীষ কুমার ভৌমিক মঙ্গলবার সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে জানিয়েছেন ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে তার যা অর্থ ছিল সবকিছু শেষ করে দিয়েছেন। কিন্তু ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে পারেননি। গত কিছুদিন আগে আগরতলার এক চিকিৎসক কিষান ভৌমিককে ব্যাঙ্গালোরের একটি হাসপাতালে রেফার করে দেন। কিন্তু অর্থের অভাবে সেখানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না তাকে। তিনি আরো জানিয়েছেন একমাত্র ছেলেকে নিয়ে তাদের অনেক স্বপ্ন ছিল, কিন্তু ধীরে ধীরে সবকিছু তাদের শেষ হয়ে যাচ্ছে। তাই মঙ্গলবার সকালে কিষান ভৌমিকের অসহায় মা বাবা সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে একমাত্র ছেলেকে সুস্থ করে তুলতে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে সাহায্যের আর্জি করেছেন। রাজ্য সরকার পক্ষ থেকে সহযোগিতা করলেই ছেলের চিকিৎসা হবে। নাহলে বিনা চিকিৎসায় এভাবেই পড়ে থাকতে হবে কিষনের। এমনটাই বললেন তার বাবা।