Thursday, January 16, 2025
বাড়িরাজ্যত্রিপুরায় দুর্নীতির সরকার এবং বিজেপি সরকার সমর্থক হয়ে গেছে : মানিক সরকার

ত্রিপুরায় দুর্নীতির সরকার এবং বিজেপি সরকার সমর্থক হয়ে গেছে : মানিক সরকার

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ সেপ্টেম্বর : ত্রিপুরায় আইন শৃঙ্খলা বলতে কোন কিছুর অস্তিত্ব নেই। মহিলাদের বিরুদ্ধে যেসব অপরাধমূলক ঘটনা ঘটছে সেগুলি বিবর্ষ, সভ্যতার কলঙ্ক এবং গণতন্ত্রের উপর আঘাত। এর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে। এভাবে চলতে দেওয়া যায় না। গত এক থেকে দেড় মাসে যে সমস্ত ঘটনা রাজ্যের ঘটেছে সে সম্পর্কে কোন সরকার উদাসীন। এখন পর্যন্ত কোন ঘটনার নিন্দা বা প্রতিবাদ জানায়নি এই সরকার এবং শাসক দল। একদলীয় স্বৈরশাসন কায়েম করে গত সাত বছর ধরে নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে ভোট জালিয়াতি করে টিকে থাকার চেষ্টা করছে বর্তমান সরকার। কিন্তু এটা চিরস্থায়ী নয়। ২০২৩ এর বিধানসভা নির্বাচনে কিছুটা বুঝতে পারল সেটা প্রকাশ করছে না। তারপরও মন্ডল দায়িত্বে যারা রয়েছে তারা লুটে রাজত্ব তৈরি করে রাখার চেষ্টা করছে। এর বিরুদ্ধে শুধু বিবৃতি দিলে চলবে না, রাজপথে নেমে প্রতিফলন ঘটাতে হবে।

 কারণ মানুষের এগুলি আর সহ্য করতে পারছে না। মঙ্গলবার রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবনে প্রয়াত সিপিআইএম কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক সীতারাম ইয়েচুরির স্মরণসভায় এ কথা বলেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা পলিটব্যুরোর সদস্য মানিক সরকার। স্মরণসভা শুরু হওয়ার আগে এদিন সীতারাম ইয়েচুরির প্রতীকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে শ্রদ্ধা জানানো হয়। তিনি বলেন, ত্রিপুরায় দুর্নীতির সরকার এবং বিজেপি সরকার সমর্থক হয়ে গেছে। অফিসগুলিতে পয়সা ছাড়া কোনো কাজ হয় না। বিধানসভায় বিরোধী দলের জৈনিক বিধায়ক মুখ্যমন্ত্রীর অফিসের এক অফিসারকে ইঙ্গিত করে বললেন সেই ভদ্রলোক মুখ্যমন্ত্রীর অফিস কোথায় সামলাচ্ছেন? তিনি সারাক্ষণ কন্টাকটারদের সময় দিচ্ছেন। কন্টাকটারদের কাছ থেকে ডিসকাউন্ট নিচ্ছেন। আর এটা দলের লোকেরাও জানে।

এখন দলের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এটা আগামী দিন আরো বাড়বে। তিনি আরো বলেন, জনগণের মধ্যে যে ছোট্ট একটা অংশ বর্তমান সরকারের প্রতি মোহ রয়েছে। তাদের এই মোহ থেকে মুক্ত করে আনতে হবে। মুখ্যমন্ত্রীর ৫৬৪ কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন। সেই টাকা কোথায়? প্রশ্ন করলেন মানিক সরকার। তিনি বলেন, রাজ্যে ভয়াবহ বন্যার পর ত্রান শিবির থেকে মানুষকে এখন ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। মানুষকে সহযোগিতার নাম করে ঘর তুলতে মাত্র কুড়ি হাজার টাকা দিচ্ছে।

কিন্তু একটি ঘর তুলতে এত টাকা কোথা থেকে আসবে তাদের প্রশ্ন তোলেন তিনি? তিনি বলেন, সর্ব ভারতে বিজেপি, আরএসএস এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদ যে কায়দা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছেন, সেই কায়দা নিয়ে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করছে রাজ্যে। এবং তারা জাতি জনজাতির মধ্যে উস্কানি দিয়ে দাঙ্গা লাগানোর চেষ্টা করছে। রানীরবাজার এবং গন্ডাছড়ায় পরিকল্পিতভাবে বাছাই করে উস্কানিমূলক কার্যকলাপ করেছে। একটি নির্দিষ্ট অংশ মানুষের বাড়ি ঘরের উপর আক্রমণ নামিয়ে এনেছে। আরো বলেন সরকার মানুষের মৌলিক চাহিদার গুলির দিকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। তাই মানুষের মৌলিক চাহিদার দিকে গুরুত্ব দিতে সরকারকে বাধ্য করতে হবে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন সংগঠিত করতে হবে বলে জানান তিনি। আয়োজিত এ দিনের স্মরণ সভায় এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম -এর সর্বভারতীয় নেতৃত্ব প্রকাশ করাত, সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য