Sunday, October 6, 2024
বাড়িরাজ্যজন্মদাতা পিতাকে বিকলাঙ্গ করেও সাধ মিটলো না পাষন্ড পুত্র ও পুত্রবধূ, আবারো...

জন্মদাতা পিতাকে বিকলাঙ্গ করেও সাধ মিটলো না পাষন্ড পুত্র ও পুত্রবধূ, আবারো মারধর করে পাঠালো হাসপাতালে

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২২ সেপ্টেম্বর : জন্মদাতা পিতাকে বিকলাঙ্গ করেও সাধ মিটলো না পাষন্ড পুত্র ও পুত্র বধূর। ভিক্ষা করে কোনভাবে নিজের পেটে দুবেলা খাবার জুটাতো অসহায় পিতা। কিন্তু তারপরও রবিবার মারধর করে বৃদ্ধকে আধমরা করল পাষণ্ড পুত্র এবং পুত্রবধূ। অভিযুক্ত পাষন্ড পুত্রের নাম মিমু সরকার এবং পুত্রবধূর নাম শান্তা সরকার। ঘটনা গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকায়। জানা গেছে গোলাঘাটি বিধানসভার অন্তর্গত কাঞ্চনমালা এলাকার এক নং ওয়ার্ডের রতন সরকারের ছেলে মিমু সরকার এবং পুত্রবধূ শান্তা সরকার বেশ কয়েক বছর আগে বৃদ্ধ রতন সরকারকে বেধড়কভাবে মারধর করে গুরুতরভাবে আহত করেছিল।

 আর তখন থেকেই পুত্র এবং পুত্রবধূর মারে বিকলাঙ্গ হয়ে আছেন রতন। এতেই শেষ নয় প্রায় প্রতিদিন বৃদ্ধ রতন সরকার পুত্র এবং পুত্রবধূর দ্বারা শারীরিক এবং মানসিক নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। একমাত্র ছেলের কাছে কোন সেবা যত্ন পাচ্ছেন না রতন। প্রতিদিন মানুষের বাড়িতে ভিক্ষা করে কোন রকম ভাবে নিজের পেট বাঁচিয়ে রেখেছেন। তাতেও শান্তি পাচ্ছেন না তিনি। একমাত্র পুত্র মিমু সরকার এবং পুত্রবধূ শান্তা সরকারের কাছে চোখের শত্রু হয়ে রয়েছেন। সবচেয়ে আশ্চর্যের বিষয় হলো বৃদ্ধ রতন সরকার যে ঘরে বসবাস করেন সেই করে মানুষ থাকা দূরের কথা পশু থাকারও উপযুক্ত নয়। ঘরটির চারিদিকে নেই কোন দেওয়াল, ঝরাজীর্ণ একটি ঘরে বৃদ্ধ রতন জীবন যাপন করছেন। রবিবার সকালে কোন একটি বিষয় নিয়ে মিমু সরকার এবং তার স্ত্রী শান্তা সরকার মিলে রড দিয়ে বৃদ্ধ রতনকে মারধর করে আহত করে। পরের রতন কোনরকম ভাবে পালিয়ে পাশের বাড়িতে গিয়ে প্রাণ বাঁচায়। সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে অসহায় বৃদ্ধ বলেন বাঁচতে চান তিনি।

প্রশাসন যাতে অভিযুক্ত ছেলে এবং ছেলের বউয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করে। এই ঘটনার খবর পেয়ে রবিবার সকালে ছুটে যান স্থানীয় এলাকাবাসী সহ পঞ্চায়েত সদস্যা হানুফা খাতুন। পরে এলাকাবাসীদের পক্ষ থেকে খবর দেওয়া হয় আমতলী থানায়। খবর পেয়ে আমতলী থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। এদিকে পুলিশ আসার খবর পেয়ে পাষণ্ড পুত্র মিমু সরকার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়। খবর দেওয়া হয় আনন্দনগর দমকল কর্মীদের। খবর পেয়ে দমকল কর্মীরা ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে গিয়ে আহত রতন সরকারকে উদ্ধার করে কাঞ্চনমালা প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে নিয়ে আসে। তবে বারবার এই ধরনের ঘটনায় গোটা কাঞ্চনমালা এলাকার মানুষ কোনভাবেই মেনে নিতে পারছে না। সভ্য সমাজকে কলঙ্কমুক্ত করতে মিমু সরকার এবং তার স্ত্রী শান্তা সরকারের মতো হৃদয়হীন ব্যক্তিদের কঠোরতম শাস্তির দাবি জানায় রাজ্য সরকারের কাছে। এখন দেখার বিষয় সিনিয়র সিটিজেন আইনে সরকার এবং প্রশাসন অভিযুক্ত পুত্র এবং পুত্রবধূর বিরুদ্ধে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য