স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ সেপ্টেম্বর : গত আগস্ট মাসে বন্যায় ত্রিপুরা রাজ্যের মানুষ দারুণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। রাজ্যে আগে এত বড় বিপর্যয় কখনো ঘটেনি। কংগ্রেস দাবি করেছিল যাতে কেন্দ্র সরকার এটি জাতীয় বিপর্যয় হিসেবে ঘোষণা করে। কিন্তু জাতীয় বিপর্যয় ঘোষণা যেমন করেনি। আজ বন্যার এক মাস অতিক্রান্ত হয়েছে। এখন পর্যন্ত কেন্দ্র সরকার ত্রিপুরা রাজ্যকে আর্থিক কোন সহযোগিতাও করেনি।
তবে বন্যা হওয়ার কয়েক দিনের মধ্যেই যে ৪০ কোটি টাকা কেন্দ্র সরকার ত্রিপুরাকে বরাদ্দ করেছে সেটা প্রতি বছরই বিপর্যয় মোকাবিলার জন্য দিয়ে থাকে। কোন আর্থিক সহযোগিতা না করার কারণে বুঝা যায় ত্রিপুরার জন্য কেন্দ্র সরকারের মনোভাব। শনিবার প্রদেশ কংগ্রেস ভবনে সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি আশীষ কুমার সাহা। তিনি বলেন, সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো গত বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী একটি প্যাকেজের ঘোষণা করেছেন। সেই প্যাকেজ থেকে কোন সহযোগিতা পায়নি কৃষক, উদ্যান চাষি, শ্রমজীবী এবং মৎস্যজীবীরা।
তিনি আরো বলেন প্রশাসনের থেকে রাজনৈতিক রঙ দেখে সহযোগিতা করা হচ্ছে। সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো লক্ষ্য করা গেছে গ্রামীণ অর্থনীতির উপর এই বন্যা পরিস্থিতিতে আঘাত নামিয়ে এনেছে। বিদ্যাজ্যোতি প্রকল্পের নাম করে এই বন্যা পরিস্থিতিতে ছেলেমেয়েদের কাছ থেকে মোটা অংক ফি নেওয়ার চেষ্টা করছে। একই সাথে বিদ্যুৎ মাশুল বৃদ্ধি করা হয়েছে। একটা সরকার এত অমানবিক কিভাবে হতে পারে বলে প্রশ্ন করেন আশিস সাহা। আরো বলেন কংগ্রেস চায় এ বন্যা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে যাতে দাঁড়ায় সরকার।
বিশেষ করে কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে প্যাকেজ ঘোষণা করে যাতে ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে সহযোগিতা করা হয়। নাহলে কংগ্রেসের কাছে আন্দোলন ছাড়া আর কোন পথ খোলা থাকবে না বলে জানান তিনি। এদিকে এক নম্বর এম এল এ হোস্টেল খালি করে এম এল এ হোস্টেল সুপারের কাছে চাবি তুলে দেওয়ার জন্য কংগ্রেস বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মনকে লিখিত আবেদন জানানোর প্রসঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, বিধায়ক সুদীপ রায় বর্মন বিধানসভার সাতবারের সদস্য। গত বিধানসভার অধিবেশনে তিনি বিভিন্ন বিষয় উত্থাপন করেছেন। তাই হয়তো গভীর ষড়যন্ত্র শুরু করেছে বিজেপি সরকার। এর প্রতিবাদ জানায় কংগ্রেস। এমনটাই জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। আয়োজিত এদিনের সাংবাদিক সম্মেলনে এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের অন্যান্য নেতৃত্ব।