Friday, April 26, 2024
বাড়িরাজ্যপেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিল সি আই টি ইউ

পেট্রোপণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে আন্দোলনের ডাক দিল সি আই টি ইউ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ এপ্রিল : কেন্দ্রীয় সরকার পেট্রোপণ্যের মূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধি করে চলেছে। সরকারের কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। আসলে এই সরকারের যে চরিত্রটা জনসম্মুখে বের হয়ে এসেছে। আম জনতার বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার জেহাদ ঘোষণা করেছে। তাই এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে সি আই টি ইউ পক্ষ থেকে পেট্রোপণ্যের অস্বাভাবিক মূল্য প্রত্যাহারের দাবি জানিয়ে ৩ এবং ৪ এপ্রিল বিক্ষোভ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। আগরতলা শহরেও ৪ এপ্রিল বিক্ষোভ মিছিল সংঘটিত করা হবে। মিছিলটি শুরু হবে পশ্চিম জেলা অফিস থেকে। রবিবার দুপুরে সি আই টি ইউ রাজ্য কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে এ কথা জানান সিআইটিইউ রাজ্য সভাপতি মানিক দে। সি এন জি পশ্চিম জেলায় ৮ টাকা বৃদ্ধি করে প্রতি কেজি করেছে ৬৮ টাকা হয়েছে।

বাকি সাতটি জেলায় ৯ টাকা করে বিক্রি করে ৭৩ টাকা হয়েছে। বাড়িঘরের পাইপলাইন গ্যাসের মূল্য ২৮ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ৩৩ টাকার অধিক করেছে প্রতি ইউনিট। বাণিজ্যিক ক্ষেত্রে পাইপলাইন গ্যাসের মূল্য বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৩৩ টাকা থেকে ৪৪ টাকা। পি এন জি ইন্ডাস্ট্রি গুলি ১৯ টাকা ৫০ পয়সা থেকে বৃদ্ধি করে করা হয়েছে ৩০ টাকা ৫০ পয়সা। পেট্রোলের মূল্য রাজ্যে গত শনিবার পর্যন্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১০৫ টাকা ৪৬ পয়সা। ডিজেল ৯২ টাকা ৫৬ হইছে। পাল্লা দিয়ে ভয়ংকরভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে আট শতাধিক ঔষধের মূল্য। ১০-১২ শতাংশ মূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে সেইসব মূল্য। অপরদিকে মানুষের ঘরের আলো জ্বালানোর জন্য যে কেরোসিন ব্যবহার হয় তা বৃদ্ধি করে করেছে লিটার প্রতি ৬৭ টাকা। এতে ১.২৫ কোটি টাকা কেন্দ্রের কোষাগারে জমা পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে বলে জানান মানিক দে। তিনি বলেন সরকারটা মানুষের প্রতি কোন দায়বদ্ধতা নেই। মনে হয় যেন মানুষকে শাস্তি দেওয়ার জন্যে এগুলি করছে।

রাস্তায় বসিয়ে দিয়েছে মানুষকে। মানুষকে বাঁচার সুযোগ দিচ্ছে না। দেশের ১১ থেকে ১২ কোটি লোক পরিবহন শিল্পের সাথে জড়িত। সেই মানুষদের বিজেপি সরকার রাস্তায় বসিয়ে দিতে চাইছে। তাদের আসল লক্ষ্য হলো পরিবহন শিল্প শেষ করে দেওয়া। এভাবে মূল্যবৃদ্ধির ফলে দেশে ২৫-৩০ শতাংশ গাড়ি বসে গেছে। এতে পণ্য পরিবহনে এবং যাত্রী পরিবহনে ব্যাপক প্রভাব পড়েছে। এমনকি শ্রমিকরাও বেকার হয়ে পড়েছে। আর সবটাই করে আসছে পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনি ফলাফল ঘোষণা হওয়ার পর। সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর মানুষের সাথে এইভাবে প্রতারণা করে চলেছে বলে জানান তিনি। আর এই বিষয়টা নিয়ে সকলকে ভাবা দরকার। কারণ এর থেকে কেউ রেহাই পাবে না। তাই সর্বাত্তক আন্দোলন গড়ে তোলা দরকার। কোভিডের জন্য বাজারে মন্দা অবস্থা। কাজ নেই, খাদ্য নেই তার উপর দিয়েই এভাবে মূল্য বৃদ্ধির তীব্র নিন্দা জানানো হচ্ছে। মুষ্টিমেয় পুঁজিপতিদের স্বার্থে সাধারণ মানুষের ওপর বোঝা নামিয়ে এনেছে। সাম্প্রদায়িক শক্তি, কর্পোরেট শক্তি এবং শাসকদল এক হয়ে আদানি আম্বানি পৃষ্ঠপোষক হয়ে কাজ হচ্ছে। তারাই আজ দেশ শাসন করেছে। তাই প্রতিবাদে সকলকে শামিল হওয়ার আহ্বান জানান মানিক দে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য