স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১১ সেপ্টেম্বর : মরণফাঁদে পরিণত হয়ে রয়েছে রাজ্যের প্রবেশদ্বার চুরাইবাড়ি গেট থেকে শনিছড়া, বাগবাসা পর্যন্ত প্রায় ১১ কিমি রাস্তা। বহি:রাজ্য রোগী নিয়ে যেতে হলেও চরম অসুবিধার সম্মুখীন হতে হচ্ছে পরিজনদের। বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে আসা-যাওয়া করতে হচ্ছে। কিছুদিন পর পর স্থানীয়রা সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেও নিট ফল শূন্য। এমনকি স্থানীয়রা পায়ে হেঁটে চলাচল পর্যন্ত দুষ্কর হয়ে দাঁড়িয়েছে।
হাট বাজারে যেতে পারছেন না এলাকার মানুষ। বহির্রাজ্য থেকে আসা এক লরি চালক জানান তারা বিভিন্ন পণ্য সামগ্রী নিয়ে রাজ্যে একবার এসে ঘুরে গেলে দ্বিতীয়বার আর আসতে চাইছেন না। শুধু তাই নয় স্থানীয় অটো চালক, টুকটুক চালক, বাইক আরোহী প্রত্যেকেই একই সমস্যার সম্মুখীন। প্রায়ই ছোট বড় যান দুর্ঘটনা লেগে থাকে। সড়কটির অধিকাংশ জায়গায় ড্রেনের ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের উপর জল জমে বেহাল অবস্থায় পরিণত হয়েছে। সংস্কার কিংবা ড্রেন তৈরীর কোন উদ্যোগ নিছে না সংশ্লিষ্ট দপ্তর। একদিকে পুকুর সমান গর্ত তো অন্যদিকে বৃষ্টির জলে টিলা মাটির ধস নেমে কাদায় পরিণত হয়ে রয়েছে সড়কের উপর। ফলে চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন যান চালক থেকে শুরু করে স্থানীয় পথচারীরাও। অভিযোগ অবৈজ্ঞানিক কাজের ফলে পাহাড়ের জল রাস্তায় নেমে এমন দুর্দশা দেখা দিয়েছে।
কেননা জাতীয় সড়কের উল্লেখিত এলাকায় সড়কের দুপাশে কালভার্ট ও ড্রেন যে যে জায়গায় রয়েছে সেগুলো মানদাতার আমল থেকে বন্ধ হয়ে রয়েছে। ফলে একদিকে বৃষ্টির জল আর অন্যদিকে টিলার মাটি নেমে একাকার। ফলে দাবি উঠছে দ্রুত সংস্কারের। পাশাপাশি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভুক্তভোগী লরি চালক সহ স্হানীয় জনগণ।