স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ সেপ্টেম্বর : গত কয়েকদিনের বেকার আন্দোলনে চাপে পড়ে জেআরবিটি গ্রুপ ডি -র ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে শনিবার সন্ধ্যায়। এই ফলাফল প্রকাশ করতে সময় লেগেছে দীর্ঘ চার বছর। মেধা তালিকায় ২,৫০০ টি পদের মধ্যে নিয়োগের চূড়ান্ত ফলাফলে দেখা গেছে ৬৩ টি পদে নিয়োগ বন্ধ। কারণ ৬৩ টি পদের জন্য যোগ্য লোক পায়নি সংশ্লিষ্ট দপ্তর নাম প্রকাশ করার। পাশাপাশি মেধা তালিকায় বহু যুবক-যুবতী রয়েছেন যারা বহির্রাজ্যের।
পি আর টি সি বাধ্যতামূলক থাকার পরেও জে আর বি টি -র এই ফলাফল পুরোপুরি হতাশ করেছে রাজ্যের বেকারদের। কিন্তু এই ফলাফলের তালিকা প্রকাশিত হতেই ২৪ ঘন্টার মধ্যে সাংবাদিক সম্মেলন করে সরকার নিয়ে পঞ্চমুখ শাসক দল তথা প্রদেশ বিজেপি। রবিবার প্রদেশ বিজেপির কার্যালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে প্রদেশ বিজেপি মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী ধন্যবাদ জানান রাজ্য সরকারকে। তিনি বলেন, রাজ্য সরকার আগেই বলেছিলেন আগামী ৭-৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হবে রাজ্যের গ্রুপ ডি পরীক্ষার ফলাফল। সে অনুযায়ী ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে। কিন্তু বিরোধী দলের কেউ কেউ বেকারদের বিভিন্নভাবে উস্কানি দেওয়ার চেষ্টা করছে। আবার কেউ কেউ বলছে ৪ থেকে ৫ বছর লেগেছে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ করতে। কিন্তু এই সময় লাগার পেছনে মূলত কারণ দেখালেন প্রদেশ বিজেপির মুখ্য মুখপাত্র সুব্রত চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার যখনই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে তখন লক্ষ্য রাখে কেউ চাকরি পাওয়ার পর যাতে চাকরি হারাতে না হয়। গোটা স্বচ্ছ প্রক্রিয়া মাধ্যমে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়।
১৯৮৮-৯৩ সাল পর্যন্ত দেখা গেছে রাজ্যের জোট আমলের মন্ত্রীরা বিয়ে বাড়িতে গিয়ে উপহার দিয়েছেন চাকরির অফার। অর্থাৎ কোন স্বচ্ছ নিয়োগ নীতি ছিল না। উদাহরণস্বরূপ বলেন ১৯৮৮-৯৩ সালে কিছু নিয়োগ প্রক্রিয়া হয়েছিল আগরতলা পৌর নিগমে। যে চাকরিগুলি পরবর্তী সময় বামফ্রন্ট সরকার প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর চলে যায়। তারপর বামফ্রন্ট সরকারের আমলেও অস্বচ্ছতার মাধ্যমে এবং দুর্নীতির মাধ্যমে চাকুরীর যাওয়ায় বহু চাকরি আদালতের নির্দেশে হারাতে হয়েছে রাজ্যের মানুষকে। যেমন ১০,৩২৩ শিক্ষক-শিক্ষিকা নিয়োগ এবং ফায়ার সার্ভিস দপ্তরে নিয়োগে দুর্নীতির কারণে চাকরি পরবর্তী সময় চলে যায়। তিনি আরো বলেন, গতকাল মেধা তালিকা প্রকাশিত হওয়ার পর থেকে লক্ষ্য করা যাচ্ছে বেকারদের মধ্যে বিভ্রান্ত সৃষ্টি করে ক্ষোভ সৃষ্টি করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এ বিষয়ে তিনি বলেন ৬৩ টি শূন্য পদ পূরণ করা সম্ভব হয়নি, মেধা অনুযায়ী ৬৩ টি পদের জন্য কাউকে পাওয়া যায়নি। দ্বিতীয়ত, যারা অন্য কোন দপ্তরে চাকরি পাওয়ার পরেও গতকাল মেধা তালিকায় নাম রয়েছে, তারা চাকরি পেয়ে পরবর্তী সময় বিষয়টি অবগত না করার কারণে সে বিষয়ে জেআরবিটি অবগত নয়। তৃতীয়ত খুব ছোট্ট একটা অংশের বহিঃ রাজ্যের যুবক-যুবতী চাকুরী পেয়েছে। কারণ যখন ২০২০ সালে বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছে তখন এর মধ্যে ছিল না যে পিআরটিসি বাধ্যতামূলক। তাই তারা মেধা তালিকায় স্থান পেয়েছে বলে জানান তিনি।