স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ সেপ্টেম্বর : সদ্য সমাপ্ত বিধানসভা অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন রাজ্যে বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত মানুষকে ত্রান ও পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য বিভিন্ন দপ্তরে ভাগ করে ৫৬৪ কোটি কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে খাদ্য ও জনসংভরন দপ্তরে দেওয়া হয়েছে ১৭০ কোটি টাকা। কৃষি ক্ষেত্রে সহযোগিতা করতে ১৫ কোটি টাকা রাখা হয়েছে, মাছ চাষীদের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। তাই মৎস্য চাষীদের সহযোগিতা করতে সরকার ১০ কোটি টাকা রেখেছে।
অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দপ্তর হল পশু পালন দপ্তর। এবার বন্যায় বহু পশু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এর জন্য প্রায় পাঁচ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্র বড় ক্ষতি হয়েছে রাজ্যের। বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান জলমগ্ন হয়েছে। তাই এগুলো সংস্কার করতে এবং ক্ষয়ক্ষতি পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে ১২ কোটি টাকা রাখা হয়েছে। পূর্ত দপ্তর এবং ডি ডব্লিউ এস -এর ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এই ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পি ডব্লিউ ডি এবং ডিডাব্লিউএস দপ্তরে রাখা হয়েছে ৫০ কোটি টাকা। অপরদিকে গ্রাম উন্নয়ন দপ্তরের রাখা হয়েছে ৪০ কোটি টাকা। কারণ বিভিন্ন সংস্কার এর জন্য সহযোগিতার প্রয়োজন মানুষের।
বন্যার পর বিভিন্ন ধরনের রোগের পদুর্ভাব হয়। তাই স্বাস্থ্য দপ্তরের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর ১০ কোটি টাকা রেখেছে। এভাবে এভাবে বিভিন্ন দপ্তরের জন্য অর্থ রাশি প্রদান করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি আগামী ২ মাস রেশন কার্ড প্রতি ১০ কেজি করে বিনামূল্যে চাল দেওয়া হবে। এতে নয় লক্ষ আশি হাজার রেশন ভোক্তা উপকৃত হবে। শনিবার প্রদেশ বিজেপি কার্যালয় সাংবাদিক সম্মেলন করে এই কথা বলেন প্রদেশ বিজেপি -র সাধারণ সম্পাদক ভগবান চন্দ্র দাস। তিনি আরো বলেন, জেলা শাসক এবং মহাকুমার শাসক দ্বারা ক্ষতিপূরণ নির্ণয় করে কেন্দ্র সরকারের কাছে স্মারক জমা দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় আরও জানিয়েছেন ব্যাপক বন্যায় ক্ষতির পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে আগামী কয়েক মাস সময় লাগবে। মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে সরকারের এ ধরনের সিদ্ধান্ত প্রশংসনীয় বলে জানান ভগবান চন্দ্র দাস।