স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৭ সেপ্টেম্বর : শিব ও পার্বতী পুত্র গণেশকে, হিন্দুদের সমৃদ্ধি ও সৌভাগ্যের দেবতা বলে মনে করা হয়। তাই সব দেব-দেবীর পুজো শুরু হয় গণেশের মন্ত্রোচ্চারণ করেই। সনাতন ধর্মে ভগবান গণেশের গুরুত্ব অনেক বেশি। সিদ্ধিদাতা গণেশের জন্মোৎসব গণেশ চতুর্থী নামে পরিচিত। ভাদ্র- আশ্বিন মাসের চতুর্থী তিথির শুক্লপক্ষে সাধারণত পালিত হয় এই উৎসব। বিগত দিনে আগরতলা শহরে গণেশ পূজার তেমন মহাসমারোহ ছিল না।
কিন্তু গত কয়েক বছর ধরে আগরতলা শহরে গণেশ পূজা অনেক গুণ বেড়েছে। বিভিন্ন ক্লাব সামাজিক সংস্থা থেকে শুরু করে বাড়িঘরে গণেশ পূজার আয়োজন করা হচ্ছে। ব্যাপক জালজমকভাবে আগরতলা শহরে গণেশ আরাধনায় ব্রতী হয়েছে ভক্তরা। আগরতলা শহরে বেশ কয়েকটি বড় বাজেটে পুজো রয়েছে। রাজধানীর ওরিয়েন্ট চৌমহনী, রবীন্দ্র শতবার্ষিকী ভবন সংলগ্ন এলাকার শহর বিভিন্ন জায়গায় গনপতির আরাধনায় মানুষ এগিয়ে এসেছে। শনিবার সকাল থেকে মন্ডপে মন্ডপে গণপতির আরাধনা শুরু হয়েছে।
ঢাকের সাথে রয়েছে শঙ্খ ধ্বনি এবং উলুধ্বনি। বাড়ি ঘরে এবং ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মধ্যেও গনপতি আরাধনা করা হয়। কারণ গণপতির আরাধনা করলে ধনসম্পত্তি বৃদ্ধি হয়। বিশেষ করে এদের সকালবেলা ঘরের বা ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের উত্তর পূর্ব দিকে গণেশের মূর্তি স্থাপন করা গেলে পরিবারের ও ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের মঙ্গল হয়। যাই হোক আগরতলা শহরেও আগামী ৩ দিন গণেশ পূজা চলবে ব্যাপক জাঁকজমক ভাবে। গণেশ চতুর্থীর আগের দিন সন্ধ্যা থেকেই শহরে দর্শনার্থীদের ব্যাপক ভিড় লক্ষ্য করা যায়। আলোয় সেজে উঠে শহরের রাস্তাঘাট। সনাতন ধর্মের পূজার মরশুম শুরু হয় গণেশ পূজা থেকে।