Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, জাতীয় সড়ক অবরোধ করলো ছাত্রছাত্রীরা

ছাত্র-ছাত্রীদের ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের, জাতীয় সড়ক অবরোধ করলো ছাত্রছাত্রীরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ সেপ্টেম্বর : ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে হাসির খোরাক এবং হতাশার কারণ হলো ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল নিয়ে তারা ছাত্র-ছাত্রীদের নাজেহাল করেছে। পরীক্ষা হওয়ার কয়েক মাসের মধ্যে ফলাফল ঘোষণা করেনি। তারপর যখন দ্বিতীয় সেমিস্টারের পড়ার সিলেবাস শেষ করে পরীক্ষায় বসার সময় হয়েছে তখন প্রথম সেমিস্টারের ফলাফল ঘোষণা করেছে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়। ফলাফলে দেখা গেছে রাজ্যে পাঁচটি কলেজের মধ্যে ৭০ শতাংশ ছাত্র-ছাত্রী ফেল করেছে।

যারা তিনটি বিষয়ে ফেল করেছে তারা এ বছরের জন্য অকৃতকার্য হয়েছে। এমনটাই অভিযোগ তুলে বুধবার সূর্য্যমনি নগর ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভের শামিল হয় মহিলা মহাবিদ্যালয়, রাম ঠাকুর মহাবিদ্যালয় সহ বিভিন্ন মহাবিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে আমতলী থানার মহকুমা পুলিশ আধিকারিকের নেতৃত্বে পুলিশ এবং টিএসআর। কিন্তু ছাত্র-ছাত্রীদের জাতীয় সড়ক অবরোধ থেকে প্রথম পর্যায়ে তুলতে ব্যর্থ হয় পুলিশ। তাদের বক্তব্য ফলাফল তাহলে কেন দ্রুত প্রকাশ করা হয়নি। এখন তারা দ্বিতীয় সেমিস্টারের পরীক্ষায় বসতে প্রস্তুত। আর এই সময় তাদের প্রথম সেমিস্টারের পরীক্ষার ফলাফল ঘোষনা করে ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।

এ ধরনের মর্জি মাফিক সিদ্ধান্ত ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের চলতে দেওয়া যাবে না। আশ্চর্যজনক বিষয় হলো অধিকাংশ ক্ষেত্রে দেখা গেছে মার্কশিটের মধ্যে ছাত্র-ছাত্রীদের নাম এবং রোল নং সঠিক থাকলেও কলেজের নাম সঠিক নেই। রামঠাকুর মহাবিদ্যালয়ের জায়গায় ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাবিদ্যালয় নাম বসিয়ে রেখেছে বহু মার্কশিটে। এ ধরনের ভুল ত্রুটি সংশোধন করে তাদের ফলাফল সঠিকভাবে প্রকাশ করতে হবে বলে দাবি করে বিক্ষোভে শামিল হয়েছে বলে জানান। একপ্রকার ভাবে বলা যায় ত্রিপুরা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এ ধরনের মনগড়া সিদ্ধান্ত কোন নতুন বিষয় নয়, বিগত দিনেও বহুবার ছাত্র-ছাত্রীরা সম্মুখীন হয়েছে। পরীক্ষার ফলাফল ১ থেকে দেড় মাসের মধ্যে প্রকাশ করাটা অত্যন্ত প্রয়োজন। না হলে ছাত্রছাত্রীরা দ্বিতীয় সেমিস্টারের পড়া শুরু করে দেয়। এ ধরনের উদাসীনতা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বের হয়ে আসা অত্যন্ত প্রয়োজন বলে মনে করছে শিক্ষাবিদরা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য