Thursday, September 12, 2024
বাড়িরাজ্যমেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ এবং থানা ঘেরাও...

মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সনের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে সড়ক অবরোধ এবং থানা ঘেরাও স্ব-দলীয় কর্মীদের

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৪ সেপ্টেম্বর : শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে নাজেহাল আরক্ষা প্রশাসন। ঘটনা মেলাঘর থানা এলাকায়। প্রথমে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের দাবিতে এক গোষ্ঠীর সড়ক অবরোধ। এইবার অভিযুক্তদের থানা থেকে ছাড়িয়ে নিতে সড়ক অবরোধ অপর গোষ্ঠীর। ঘটনার বিবরণে জানা যায়, সম্প্রতি গোষ্ঠী কোন্দলের জেরে রক্তাক্ত হতে হয় মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন অনামিকা ঘোষ পাল রায়ের স্বামীকে। এই ঘটনার পর অনামিকা ঘোষ পাল রায় মেলাঘর থানায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। পাশাপাশি মেলাঘর পুর পরিষদ এলাকার শাসক দলের কর্মী সমর্থকরা অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে মেলাঘর থানার সামনে সড়ক অবরোধে সামিল হয়। এতে করে হয়রানি ও দুর্ভোগের শিকার হতে হয় সাধারন মানুষকে।

তারপর আরক্ষা প্রশাসন ঘটনার তদন্তে নেমে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করেও বেকায়দায় মেলাঘর থানার পুলিশ। বুধবার অভিযুক্তদের পক্ষ হয়ে বিজেপির অপর গোষ্ঠী মেলাঘর থানা ঘেরাও করার পাশাপাশি সড়ক অবরোধে সামিল হয়। তাদের দাবি মেলাঘর পুর পরিষদের চেয়ারপার্সন মিথ্যা মামলা দায়ের করেছে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে। যার কারনে পুলিশ তাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ যাদেরকে গ্রেপ্তার করেছে তাদেরকে ছেরে দিতে হবে। শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের জেরে নাজেহাল অবস্থা সাধারন মানুষের। কারন কথায় কথায় সড়ক অবরোধের ফলে ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে সাধারন মানুষকে। স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে কি আরক্ষা প্রশাসনের উপর আস্তা নেই শাসক দলের কর্মীদের। এই পরিস্থিতিতে দাড়িয়ে মেলাঘর পুর পরিষদ এলাকার এক সাধারন নারিক সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান প্রশাসন কাজ না করলে প্রশাসনের উপর দায় চাপানো যেত। কিন্তু প্রশাসন অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার না করায় একবার সড়ক অবরোধ।

 আবার অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের প্রতিবাদেও সড়ক অবরোধ। তাহলে প্রশাসন কোথায় যাবে। কেন ভোগান্তির শিকার হতে হবে সাধারন মানুষকে। প্রশ্ন হচ্ছে শাসক দলের দুই গোষ্ঠীর কোন্দলের খেসারত কেন সাধারন জনগণ দেবে। তাহলে কি শাসক দলের কর্মীদের আরক্ষা প্রশাসনের উপর আস্তা নেই। নাকি শাসক দলের মধ্যে শৃঙ্খলার ঘাটতি রয়েছে। এখন দেখার দলের শীর্ষ নেতৃত্বরা জনগণের ভোগান্তি বন্ধ করার জন্য দলীয় ভাবে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করেন কিনা।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য