স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১ সেপ্টেম্বর : প্রশাসনিক চরম গাফিলতির কারণে এবং ছাত্রের অসাধারণতার কারণে অকালে ঝরে যাওয়ার ঘটনায় শোকস্তব্ধ হয়ে পড়ল মান্দারী বাসী। মান্দাইয়ের কনস্ট্রাকশন স্কুলের এক ছাত্র আয়ুষ দেববর্মা শনিবার সকালে দুই বন্ধুর সাথে স্কুলে যায়। কিন্তু স্কুলের পেছন গেটের সাথে ঝুলে থাকা ছেঁড়া হোক লাইনের মধ্যে তার হাত লাগে।
সাথে সাথে বিদ্যুৎ ষ্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় তার। তখন অন্যান্য ছাত্ররা এ বিষয়ে শিক্ষক-শিক্ষিকাদের গিয়ে অবগত করলে তারা এসে সাথে আয়ুশকে বিদ্যুৎ থেকে মুক্ত করে হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া হয় কিন্তু কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত বলে ঘোষণা করেন। তারপর দুপুর ১২ টার নাগাদ বিদ্যুৎ নিগমের মান্দাই সাব ডিভিশন অফিসে ফোন করে জানায় কর্তব্যরত শিক্ষক শিক্ষিকারা। সাথে সাথে বিদ্যুৎ নিগমের ম্যানেজারের নেতৃত্বে একটি টিম স্কুলে ছুটে যায়। তারা গিয়ে দেখেন ২০১৯ সালের ১১ মার্চ স্কুলের বিদ্যুৎ বিল কুড়ি হাজার ৯৩ টাকা বকেয়া থাকায় লাইন কেটে দেওয়া হয়। তারপর থেকে স্কুলে কিভাবে বিদ্যুৎ ব্যবহার করত সে বিষয়ে অবগত নয় বিদ্যুৎ নিগমের কর্মীরা। এরই মধ্যে যখন এই ঘটনা সংঘটিত হয় তখন তদন্তে গিয়ে হুক লাইনের বিষয়টি সামনে আসে বিদ্যুৎ নিগমের।
সাথে সাথে এই বিষয়ে তদন্ত করতে জানানো হয়েছে পুলিশকে। এমনটাই জানান মান্দাই সাব ডিভিশনের সিনিয়র ম্যানেজার অমরেন্দ দেববর্মা। ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনার বিষয়ে স্কুল পরিচালন কমিটির সভাপতি মঙ্গল দেববর্মার সাথে কথা বললে তিনি জানান, এদিন স্কুলের সাড়ে আটটা থেকে পৌনে নয় টা নাগাদ ৩ ছাত্র পেছনে গেট দিয়ে প্রবেশ করার সময় এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে স্কুলে তারা এভাবে প্রবেশ করত বলে এখন ধারণা করছে পরিচালন কমিটির সভাপতি। তবে এই ঘটনা মর্মান্তিক বলে দাবি করেন তিনি। তিনি আরো জানান স্কুলে দেড় শতাধিক ছাত্র-ছাত্রীর জন্য পাঁচ থেকে ছয় জন শিক্ষক শিক্ষিকা আছেন। কিন্তু এর মধ্যে এই ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। রবিবার মৃতদেহ ময়না তদন্তের পর পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয়। হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে আয়ুশের পরিবারের লোকজন।