স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক, আগরতলা, ১১ জুলাই : নেশা কারবারীদের সাথে জড়িয়ে পড়লেন এলাকার শাসক দলের জনপ্রতিনিধিরা। এই ঘটনা সূর্যমনিনগর বিধানসভা কেন্দ্রের কাঁঠালতলি বাজারে। এলাকার অসীম দাস নামে এক ব্যক্তি দীর্ঘ দিন ধরে ব্রাউন সুগার বিক্রয় করে আসছে। যার ফলে এলাকার যুব সমাজ ব্রাউন সুগারের নেশায় আসক্ত হয়ে পড়ছে। বৃহস্পতিবার নেশায় আসক্ত হয়ে মুন্না দাস নামে এলাকার এক যুবক আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনার পর এলাকাবাসীর মধ্যে দেখা দেয় ক্ষোভ। শুক্রবার এলাকাবাসীরা একত্রিত হয়ে কাঁঠালতলি বাজারে অভিযুক্ত নেশা কারবারীর দোকানে হানা দেয়। সেই দোকান থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ ব্রাউন সুগারের কৌটা।
পরবর্তী সময় সে লুকিয়ে থাকে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী রানী দাসের বাড়িতে। লক্ষ্মী দাস অভিযুক্ত নেশা কারবারিকে লুকিয়ে থাকতে সহযোগিতা করে। অসীম এবং পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী রানী দাসের সাথে জড়িত প্রশান্ত মালাকার নামে বাজার কমিটির এক সদস্যও। এলাকাবাসী পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি থেকে অভিযুক্ত অসীমকে আটক করে এবং সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান লক্ষ্মী রানী দাসকেও আটক করেন। পরবর্তী সময় তাদের মহিলারা উত্তম-মাধ্যম দিয়ে তুলে দেয় পুলিশের হাতে। শাসক দলের আশীর্বাদে তারা এলাকায় কুখ্যাত নেশা কারবারি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে এলাকাবাসীর কাছে বলে অভিযোগ। এলাকাবাসিদের অভিযোগ অসিম দাস, তার স্ত্রী, মা সকলে মিলে ব্রাউন সুগার বিক্রয় করে আসছে দীর্ঘ বছর ধরে। এই বিষয়ে এলাকার বিধায়ককেও জানানো হয়েছে।
কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। যার কারনে উনার অনুগামীদের নাম উঠে আসছে নেশা কারবারির তালিকায়। এলাকাবাসীর প্রশ্ন যেখানে ব্রাউন সুগার বিক্রয় করা হয়, তার পাশে রয়েছে শাসক দলের পার্টি অফিস। একটি পার্টি অফিসের সাথে কি করে দিনের পর দিন নেশা সামগ্রী বিক্রয় করা হচ্ছে। তাদের কঠোর শাস্তি দাবী করল এলাকাবাসী। উল্লেখ্য, মুখে মুখে নেশা মুক্ত ত্রিপুরার ঝপ নাম, অথচ জড়িয়ে পড়ছেন দলের জনপ্রতিনিধিরা। এমনটাই অভিযোগ কান পাতলে শোনা যায়।