Thursday, January 23, 2025
বাড়িরাজ্যরাজ্যে সম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহু, সংবাদ মাধ্যমকে জানান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিম

রাজ্যে সম্প্রতিক বন্যায় ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বহু, সংবাদ মাধ্যমকে জানান কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিম

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩০ আগস্ট : গত ১৯ থেকে ২২ আগস্ট পর্যন্ত রাজ্যে ভারী বর্ষণের ফলে ভয়াবহ বন্যা হয়। ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয় রাজ্যের চাষাবাদ জমি থেকে শুরু করে মানুষের বাড়ি ঘরের। নষ্ট হয়ে যায় সরকারি সম্পত্তিও। মুখ্যমন্ত্রী এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারকে অবগত করার পর কেন্দ্রীয় একটি পর্যবেক্ষক টিম রাজ্যে পাঠানো হয়। তারা দুটি ভাগে বৃহস্পতিবার থেকে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ খতিয়ে দেখছে। সারা রাজ্যের মতো ভয়াবহ বন্যায় প্লাবিত হয়েছে খোয়াই জেলার বিভিন্ন এলাকা। বন্যায় কবলিত ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন খোয়াই জেলায় কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিম। পরিদর্শনকারী দল খোয়াইয়ের বন্যার কারণে ক্ষয়ক্ষতির  মূল্যায়ন করেছে।

 আইএমসিটি – র খোয়াইয়ের বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শুরু করেছেন শুক্রবার সকাল দশটায়। এদিন পরিদর্শনকারী দল সকালে খোয়াই ডাক বাংলাতে আসে। তারপর সেখান থেকে খোয়াই জেলাশাসক চাঁদনী চন্দন, অতিরিক্ত জেলাশাসক অভিজিৎ চক্রবর্তী, সিনিয়র ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট পরিমল মজুমদারের, নেতৃত্বে টিমটি খোয়াই পশ্চিম সোনাতলার জামিরা এলাকায় যায়। কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিমে উপস্থিত ছিলেন শশাঙ্ক ভূষণ, পিকে মিনা এবং রমেশ কুমার। সেখানে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলি পরিদর্শন করেন। কথা বলেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার গুলির সাথে। বন্যা কবলিত পরিবারের ক্ষয়ক্ষতির সম্পর্কে অবগত হন পরিদর্শনকারী দল।

 তারপর সেখান থেকে চলে যান চেবরী এলাকায়। সেখানে পুকুর, কৃষি জমি সহ বিভিন্ন ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করেন। পরিদর্শন কালে এলাকার ক্ষতিগ্রস্ত মৎস্য চাষী ও কৃষকদের ক্ষয়ক্ষতির কথা তুলে ধরেন। পরে কল্যানপুর ব্লকের অন্তর্গত দক্ষিণ দুর্গাপুর পঞ্চায়েতের রাতিয়া এলাকা পরিদর্শন করেন। তারপর চলে যান কল্যাণপুর ব্লকের অন্তর্গত কমলনগর এলাকায়। সেখানে গিয়ে ৭০ হেক্টর জমির ক্ষয়ক্ষতি স্বচক্ষে প্রত্যক্ষ করেন কেন্দ্রীয় পর্যবেক্ষক টিম। এবং অবগত হয় এলাকায় প্রায় ২০০০ মানুষের বসবাস। এর মধ্যে বহু মানুষই ক্ষতিগ্রস্ত। কেন্দ্র পর্যবেক্ষক টিমের এক আধিকারিক জানান, বৃহস্পতিবার গোমতী জেলা পরিদর্শন করেছে তারা। শুক্রবার খোয়াই জেলা পর্যবেক্ষণ করে লক্ষ্য করতে পেরেছেন প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তার উপর একটি রিপোর্ট তৈরি করে ত্রিপুরা সরকার এবং কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের কাছে তারা জমা দেবে বলে জানান।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য