স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ আগস্ট : নতুন বাজার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার বন্যায় প্লাবিত দুর্গতরা প্রশাসনিক অবহেলার শিকার। দুর্গতদের দুরাবস্থার খোঁজ খবর নিতে প্রশাসনিক আধিকারিক কিংবা নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের একবারের জন্যেও দেখা দেয় নি। যার ফলে ঠিক মতো ত্রান সামগ্রী বিতরণ করা হচ্ছে না বলে অভিযোগ। গত কয়েক দিনে গোমতী নদীর এক ভয়াবহ রূপ প্রত্যক্ষ করেছে নতুন বাজার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।
বন্যার কবলে পরে নতুন বাজার ভিলেজের সুকান্ত কলোনি, ফরেষ্ট টিলা, ভোমড়াছড়া ভিলেজের কার্তিক পাড়া, তুলারাম পাড়া, লেইপেদা পাড়া, খেদারনাল ভিলেজের জমাতিয়া পাড়া, বাঙালি পাড়া সহ বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। কিন্তু নতুন বাজার, ভোমরাছড়া ও খেদারনাল তিনটি ভিলেজ কমিটি অমরপুর ব্লকের অধীনে হলেও মহকুমা প্রশাসন কিংবা ব্লক প্রশাসনের কোন আধিকারিক দুর্গতদের পাশে এসে এখন পর্যন্ত দাঁড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেননি বলে অভিযোগ দুর্গতদের। যাতায়াতের রাস্তায় জল জমার অজুহাত দেখিয়ে পার্শ্ববর্তী করবুকের মহকুমা শাসককে নাকি বিষয়টি দেখার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু করবুক মহকুমা শাসক একবারের জন্যও অত্র এলাকায় বন্যার কবলে থাকা দুর্গতদের খোঁজ খবর নিতে ত্রাণ শিবিরে পা রাখেননি বলে অভিযোগ। নতুন বাজার দ্বাদশ শ্রেণী বিদ্যালয়ে প্রথমদিন প্রায় ৩৫০ জন, ফরেষ্ট টিলায় একটি পরিত্যাক্ত সরকারি অফিসে ১৫০ জন, ভোমরা ছাড়া ভিলেজের প্রায় ১৫ থেকে কুড়িটি পরিবার বন্যার কারণে গৃহছাড়া হলেও, তাদের জন্য কোন সরকারি সাহায্য সহযোগিতা দেওয়া হয়নি।
প্রশাসনিক আধিকারিকের কোন খোঁজ খবর না পেয়ে ওই এলাকার দুর্গতরা নতুন বাজারের শাসকদলের এক মন্ডল নেতার দ্বারস্থ হলে তিনি নাকি তাদেরকে অমরপুরের বন্যার দুরবস্থার কাহিনী শুনিয়ে খালি হাতে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। প্রশ্ন হচ্ছে ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবেলার জন্য কেন্দ্রীয় সরকার ব্যাপক হারে ত্রান সামগ্রী পাঠালেও অমরপুর ব্লকের অন্তর্গত নতুন বাজার, খেদারনাল ও ভোমরাছড়া ভিলেজের দুর্গতরা কেন সঠিকভাবে ত্রাণ সামগ্রী পাওয়া থেকে বঞ্চিত থাকবে? অসহায় মানুষ জীবনের ঝুকি নিয়ে গলা সমান জল কাটিয়ে এপার ওপার হচ্ছে। কিন্তু এক্ষেত্রেও প্রশাসনের ভূমিকা যথেষ্ট প্রশ্ন চিহ্নের মুখে। বিশেষ করে বিপদের দিনে মহকুমা কিংবা ব্লক প্রশাসন যেভাবে মুখ ফিরিয়ে রেখেছে তাতে ক্ষোভে ফুঁসছে নতুন বাজার সহ পার্শ্ববর্তী এলাকার মানুষ।