Tuesday, January 14, 2025
বাড়িরাজ্যশিক্ষক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, পলাতক নারী নেত্রী

শিক্ষক খুনের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪, পলাতক নারী নেত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : শিক্ষক হত্যার দায়ে আরো তিনজন অভিযুক্তকে আদালতের নির্দেশে তিনদিনের পুলিশ রিমান্ডে আনা হয়। জানা যায়, গত ৮ই আগস্ট উদয়পুরের অভিজিৎ দে নামে এক শিক্ষককে পোল্ট্রি রোড এলাকার শাসকদলের সমাজদ্রোহী শংকর কর্মকারের বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে শিক্ষক অভিজিতের উপর চালায় অত্যাচার। এই অত্যাচারের ফলে শিক্ষক অভিজিৎ দে-র কাছে ত্রিশ লক্ষ্য টাকা দাবি করে শংকর কর্মকার ও তার সঙ্গে থাকা আরো কয়েকজন। পরবর্তী সময়ে শিক্ষক অভিজিৎ দে -কে সারা রাত থানায় রাখা হয়। বাড়ির লোকজনদের চাপে উদয়পুর মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলেও কর্তব্যরত চিকিৎসক সঠিক চিকিৎসা না করার অভিযোগ করা হয়েছে শিক্ষকের বাড়ির লোকজন দের পক্ষ্য‌ থেকে।

পরের দিন আদালতে তোলা হলে সেখানে জামিন পায় শিক্ষক অভিজিৎ দে। পরে বিচারপতি সামনে রক্ত বমী করে অভিজিৎ। নিয়ে যাওয়া হয় গোমতী জেলা হাসপাতালে পরে জিবি হাসপাতালে।১০ ই আগস্ট অভিজিৎ দে জিবি হাসপাতালে মারা গেলে ও ময়না তদন্ত না করে তাকে ছেড়ে দেওয়া হয়। পরে উদয়পুর জেলা হাসপাতালে ময়না তদন্তের জন্য পরিবারের লোকজন নিয়ে গিয়ে ময়না তদন্ত করানো হয়।এ নিয়ে শিক্ষক অভিজিৎ দে-র বাড়ি থেকে বেশ কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ আসামীদের জালে তুলতে কিছুটা অনিহা দেখাতে শুরু করে। মূখ্যমন্ত্রী উদয়পুর এসে শিক্ষক অভিজিৎ দে-র বাড়িতে যান। সেখানে সাংবাদিকরা উদয়পুর মহিলা থানার ওসি আলপনা সরকার ও যিনি আই ও তাদের বিরুদ্ধে আসামিদের গ্রেপ্তার করতে অনিহা প্রকাশের কথা মূখ্যমন্ত্রীর সামনে তোলে ধরা হলে মূখ্যমন্ত্রী পরিস্কার বলে দেন যারা শিক্ষক হত্যার দায়ে জড়িত তাদের কাউকে ছাড়া হবে না। তারপর পুলিশ নড়েচড়ে বসে চারজন অভিযুক্তকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পেরেছে। বাকিরা এখনো ও পলাতক। যার মধ্যে একজন নারী নেত্রীও রয়েছেন বলে অভিযোগ। পুলিশ যে চারজনকে গ্রেপ্তার করতে পেরেছে তারা হল জয়ন্ত সাহা, শংকর কর্মকার, পাপন মাদ্রাজি ও বিশ্বজিৎ সাহা। তাদের শুক্রবার আদালতে তোলা হলে পুলিশ তাদেরকে পুলিশ রিমান্ডে আনার আর্জি জানো হয় বলে এ পিপি সুমন্তা চক্রবর্তী সাংবাদিকদের সামনে জানান। এখন দেখার বিষয় পুলিশ বাকিদের জালে তুলতে পারে কিনা। সেই দিকে তাকিয়ে আছে নিহত শিক্ষক অভিজিৎ দে -র পরিবার ও রাজ্যবাসী।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য