স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৪ আগস্ট : মন্ত্রীর কড়া হুশিয়ারিকে পাত্তা না দিয়ে বাজারে চলছে অসাধু ব্যবসায়ীদের কার্যকলাপ। বন্যা পরিস্থিতিতে কাজে লাগিয়ে সেই অসাধু ব্যবসায়ীরা নিজের মর্জি মাফিক দ্রব্য মুল্য বৃদ্ধি করে চলছে। প্রশাসন ঢাক ঢোল পিটিয়ে বাজারে অভিযান চালানোর আগে সবকিছু আবার নিয়ন্ত্রণ চলে আসে। আর প্রশাসন বাজার ছাড়তেই মানুষের পকেট কাটার ধান্দা খুঁজে নেয় কিছু অসাধু ব্যবসায়ীরা।
গত দু’দিন ধরে বাজারে এ ধরনের কার্যকলাপ বেড়ে যাচ্ছে। যদিও এই ধরনের পকেট কাটার ধান্দা আগে থেকেই আচ করতে পেরে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী সদর মহকুমা শাসক ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে শুক্রবার বৈঠক করে নির্দেশ দিয়েছে কেউ যাতে মূর্জি মাফিক ত্রব্যমূল্য বৃদ্ধি না করে। কিন্তু মন্ত্রীর নির্দেশ পাত্তা না দিয়ে বাজারে খোচরো আলুর মূল্য ৪৫ টাকা থেকে ৫০ টাকা কিলো এবং পেঁয়াজের মূল্য প্রায় ৬০ টাকা কিলো। যা পাইকারি মূল্যের সাথে রাত দিন তফাৎ। একই সাথে চাল সহ অন্যান্য সামগ্রীমূল্য অস্বাভাবিকভাবে বৃদ্ধিতে চলছে বাজারে।
গত ১৮-১৯ আগস্ট বাজারে নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী মূল্যের সাথে বর্তমান সামগ্রীর মূল্য অনেক বেশি তফাৎ। মন্ত্রীর নির্দেশে বাজারগুলিতে দুবেলা মাইকিং এ চলছে। কিন্তু সচেতন হওয়ার নাম গন্ধ নেই অসাধু ব্যবসায়ীরা। শনিবার সকালে রাজধানীর মহারাজগঞ্জ বাজার অভিযান চালিয়েছেন সদর মহকুমা প্রশাসনের এনফোর্সমেন্ট টিম। তারা অভিযান চালিয়ে লক্ষ্য করেন বাজারে পাইকারি মূল্যের সাথে খুচরা মূল্য রাত দিন তফাৎ। তারপর বিষয়টি নিয়ে ব্যবসায়ীদের সাথে বৈঠক করে নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করেছেন। তারপর বিভিন্ন দোকানে অভিযান চালায় এই এনসোর্সমেন্ট টিম।
ব্যাপক অনিয়ম লক্ষ্য করে রাজু বণিকের দোকান সাময়িক বন্ধ করে দেয় এনফোর্সমেন্ট টিম। অপরদিকে সেন্ট্রাল রোডের সংকর পালের পেঁয়াজের দোকানে অভিযান চালিয়ে লক্ষ্য করেন ৫৪ টাকা পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারিত থাকলেও তিনি ৫৫ টাকা কিলোতে বিক্রি করছেন। তারপর প্রশাসনিক টিম অভিযান চালায় তার দোকান ঘরের ভেতর। দেখতে পায় ছয় শতাধিক বস্তা পেঁয়াজ ক্রয় করে দুই শতাধিক পেঁয়াজের বস্তা থেকে এভাবেই পেঁয়াজ বিক্রি করেছেন। তারপর তার পেঁয়াজ বিক্রি সাময়িক বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়ে খাদ্য দপ্তরে আধিকারিকের সাথে দেখা করার জন্য বলেন। এবং প্রশাসনিক প্রতিনিধি দলটি বাজারে পেঁয়াজের মূল্য নির্ধারণ করে দেয় ৫৫-৬০ টাকা কিলো এবং আলোর মূল্য ৩৮-৪০ টাকা কিলো। তবে এ ধরনের অভিযান আগামী দিনের কতটা কাজে আসবে সেটা এখন দেখার। তবে হাসির খোরাক হলো প্রশাসন, আলু পিঁয়াজের কৃত্রিম সংকট না থাকার পরেও কেন মূল্য এতটা বৃদ্ধি করে তারা নির্ধারণ করবে? মূল্য স্বাভাবিক ক্ষেত্রে অনেক বেশি বলে মনে করছে ক্রেতারা। অর্থাৎ শাক দিয়ে মাছ ঢাকা ছাড়া আর কিছু নয়।