Monday, September 16, 2024
বাড়িরাজ্যপ্রায় ৩০ হাজার মানুষ শরণার্থী শিবিরে, বন্যা কবলিতা এলাকা গুলি পরিদর্শনের পর...

প্রায় ৩০ হাজার মানুষ শরণার্থী শিবিরে, বন্যা কবলিতা এলাকা গুলি পরিদর্শনের পর জানান মুখ্যমন্ত্রী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ আগস্ট : ভারী বৃষ্টির ফলে আগরতলা শহর পরিণত হয়েছে আগরতলা শহরে। বলতে গেলে আগরতলা শহর ভাসছে জলের উপর। আগরতলা শহর সহ শহরের আশপাশ এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। প্রতাপগড়, শ্রীলঙ্কাবস্তি, বলদাখাল, ভাল্লুকিয়ে টিলা সহ বেশকিছু এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। রাজধানীর আগরতলা শহরের অধিকাংশ রাজপথ জলের নিচে তলিয়ে গেছে। স্তব্ধ হয়ে পড়েছে যান চালচল। বাড়ি থেকে বের হওয়া দায় হয়ে দাঁড়িয়েছে সাধারন মানুষের। বহু বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়েছে জল। হাওড়া নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। হাওড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পাওয়ায় প্লাবিত নদীর দুই পাস।

 নদীর দুই পাশে থাকা বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়েছে জল। বলদাখাল, শ্রীলঙ্কাবস্তি এই সকল এলাকার বাড়ি ঘরে কোমর সমান জল জমে রয়েছে। নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য মানুষ বাড়ি ঘর ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছে শরণার্থী শিবিরে। বন্যা কবলিত এলাকায় গৃহবন্ধী হয়ে পড়েছে বহু মানুষ। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করে যাচ্ছে প্রশাসন। জায়গায় জায়গায় নামানো হয়েছে বোট। সকাল থেকে জোর কদমে চলছে উদ্ধার কাজ। আগরতলা শহরের বহু বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। ঘরে জল ঢুকে পড়ার ফলে কেউ কেউ রান্নাও করতে পারে নি। ফলে দিনভর অভুক্ত থাকতে হয়েছে। এইদিকে শহরের বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার সন্ধ্যায় মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা  ছুটে যান আইটি ভবনে। সেখানে গিয়ে জলমগ্ন আগরতলা শহরের সার্বিক চিত্র প্রত্যক্ষ করেন মুখ্যমন্ত্রী। সাথে ছিলেন আগরতলা পুর নিগমের কমিশনার শৈলেস কুমার যাদব। তারপর মুখ্যমন্ত্রী এক এক করে ছুটে যান স্বামী দয়ালানন্দ স্কুল ও স্বামী বিবেকানন্দ স্কুলে।

 সেখানে বহু মানুষ বাড়িঘর ত্যাগ করে আশ্রয় নিয়েছে। শরণার্থী শিবিরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী কথা বলেন বন্যা কবলিতদের সাথে। পরে মুখ্যমন্ত্রী দেখতে যান বন্যা কবলিত এলাকা। তারপর মুখ্যমন্ত্রী সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান দক্ষিন জেলায় যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু রাস্তা খারাপ হওয়ার কারনে যেতে পারেন নি। তাই আগরতলা শহরের আশপাশ এলাকা ঘুরে দেখছেন। ত্রিপুরা রাজ্যে এত পরিমাণ বৃষ্টি হবে তা ভাবা যায় না। শরণার্থী শিবিরে যারা আশ্রয় নিয়েছে তাদের যেন কোন সমস্যা না হয় তার জন্য খোঁজ খবর নিচ্ছেন। সমগ্র ত্রিপুরা রাজ্যে ৩২০ টি শরণার্থী শিবির এখনো পর্যন্ত খোলা হয়েছে। এই শরণার্থী শিবির গুলিতে প্রায় ৩০ হাজারের অধিক মানুষ আশ্রয় নিয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রীর সাথে এইদিন ত্রান শিবির ঘুরে দেখেন প্রদেশ বিজেপি সভাপতি রাজিব ভট্টাচার্য, পশ্চিম জেলার জেলা শাসক সহ প্রশাসনিক আধিকারিকরা। তবে হাওড়া নদীর জল বিপদ সীমার উপর দিয়ে বইছে। তার উপর এইদিন সন্ধ্যার পর ফের একবার আগরতলায় ভারি বৃষ্টি শুরু হয়। যা রীতি মতো উদ্বেগের বিষয়। কারন এইভাবে রাতভর ভারি বৃষ্টি হতে থাকলে বন্যা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাইরে চলে যেতে পারে বলে অভিমত অভিজ্ঞ মহলের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য