Monday, March 17, 2025
বাড়িবিশ্ব সংবাদসামুদ্রিক খাবার রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজছে জাপান

সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি বাড়াতে নতুন বাজার খুঁজছে জাপান

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক।। ২১ আগস্ট : সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র, এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোতে নতুন বাজার খুঁজছে জাপান।বছরখানেক আগে চীনের আমদানি নিষেধাজ্ঞার কারণে জাপানের রপ্তানি বাজারের বিক্রিতে যে শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে তা কাটিয়ে উঠতেই এ চেষ্টা নিয়েছে দেশটি।জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের প্রধান নোরিহিকো ইশিগুরো একথা জানিয়েছেন।চীন ছিল এর আগে জাপানের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানির সবচেয়ে বড় বাজার। কিন্তু গত বছর অগাস্টে প্রশান্ত মহাসাগরে জাপানের ফুকুশিমা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি ফেলাকে কেন্দ্র করে দেশটি থেকে সামুদ্রিক খাবার আমদানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে চীন।

ভূমিকম্প ও সুনামিতে ধ্বংস হয়ে যাওয়া ফুকুশিমা বিদ্যুৎকেন্দ্রের তেজস্ক্রিয় পানি শোধন করে সমুদ্রে নিষ্কাশনের জন্য জাতিসংঘ আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) অনুমতির পর বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনাকারী টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার (টেপকো) এই পানি সাগরে ছাড়া শুরু করে।এতে সামুদ্রিক খাবারে তেজস্ক্রিয়তার ঝুঁকি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়। ২০২০ সালের পর থেকে ২০২৪ সালেই প্রথমবারের মতো জাপানের কৃষি, বনজ ও মৎসজাত পণ্যের রপ্তানি পড়ে যায়। চীনেও সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি নেমে যায় ৪৩ দশমিক ৮ শতাংশে। কেবল শামুক রপ্তানিই কমে যায় ৩৭ শতাংশ।

জাপান এক্সটার্নাল ট্রেড অর্গানাইজেশনের চেয়ারম্যান নোরিহিকো ইশিগুরো বলেন, “চীন রপ্তানি বন্ধ করায় যে ক্ষতি হয়েছে, তা আমরা এখনও পুরোপুরি কাটিয়ে উঠতে পারিনি। তবে যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা, থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে সামুদ্রিক খাদ্য রপ্তানি বাড়ছে। এতে বিকল্প বাজারে রপ্তানি বৃদ্ধি উল্লেখযোগ্যভাবে ত্বরান্বিত হচ্ছে।”সরকার-সমর্থিত বাণিজ্য সংস্থাগুলো এশিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশে নতুন বাণিজ্যিক চ্যানেল তৈরি করে শামুক ও অন্যান্য পণ্য রপ্তানির নতুন নতুন বাজার চালুর চেষ্টা করছে বলে জানান তিনি।

সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ২০২২ সালে জাপান চীনে ৮,৭১০ কোটি ইয়েন মূল্যের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি করেছিল। পরের বছর তা ৬,১০০ কোটি ইয়েনে নেমে আসে। আর চলতি বছরের প্রথমার্ধে এই অংক নেমে এসেছে মাত্র ৩৫০ কোটি ইয়েনে।তবে ইশিগুরো বলেন, “জাপানের সামুদ্রিক খাবার রপ্তানি উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। চীনের নিষেধাজ্ঞায় সৃষ্ট শূণ্যতা পূরণে খুব বেশি সময় লাগবে না।”

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য