Friday, September 13, 2024
বাড়িরাজ্যসদর মহকুমা এলাকায় ১৯ টি শিবিরে আশ্রয় নিল প্রায় ২,২০০ জন মানুষ

সদর মহকুমা এলাকায় ১৯ টি শিবিরে আশ্রয় নিল প্রায় ২,২০০ জন মানুষ

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ আগস্ট : সোমবার সকাল থেকে টানা বৃষ্টির ফলে রাজধানীর বলদাখাল, চন্দ্রপুর আসাম-আগরতলা রোড, শ্রীলঙ্কা বস্তি, প্রতাপগড় সহ বেশ কিছু জায়গা জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। বন্যা কবলিত এলাকায় নামানো হয়েছে বোড। বন্যা কবলিতদের উদ্ধারের জন্য কাজ করছে এস ডি আর এফ এবং টি এস আর -এর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। ইতিমধ্যে শরণার্থী শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে বন্যা কবলিত প্রায় ২,২০০ জন মানুষ।

বন্যা কবলিত এলাকা থেকে মানুষদের নিরাপদে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে শরণার্থী শিবিরে। মঙ্গলবার সকালে বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনে বের হন আগরতলা পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার। পাহাড়ে অতিবৃষ্টির ফলে হাওড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়। দক্ষিণ রামনগর এলাকায় হাওড়া নদীর জল বাড়ি ঘরে ঢুকে পড়ে। ফলে অনেক পরিবার বাড়ি ঘর ছেরে আশ্রয় নেয় শরণার্থী শিবিরে। এইদিন সেই সকল এলাকা পরিদর্শন করেন এলাকার বিধায়ক তথা মেয়র দীপক মজুমদার। সাথে ছিলেন কর্পোরেটর নিতু গুহ দে সহ অন্যান্যরা।

বন্যা কবলিত এলাকা পরিদর্শনের পর পুর নিগমের মেয়র দীপক মজুমদার জানান হাওড়া নদীর জল স্তর বৃদ্ধি পাওয়ার কারনে দক্ষিণ রামনগর এলাকার বেশ কিছু বাড়ি ঘরে জল ঢুকে পড়েছে। যাদের বাড়িতে জল ঢুকে পড়েছে, তাদেরকে শরণার্থী শিবিরে থাকার ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়েছে। তাদের জন্য খাবারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সদর মহকুমা শাসক মানিক লাল দাস জানিয়েছেন, সদর মহাকুমা অন্তর্গত বন্যা প্লাবিত এলাকায় গুলি থেকে মানুষজনকে উদ্ধারে কাজে এখনো ব্যস্ত রয়েছেন পুলিশ, এস ডি আর এফ এবং টিএসআর -এর দ্বিতীয় ব্যাটেলিয়ানের জওয়ানরা। তারা মানুষকে নিরাপদ স্থানে উদ্ধার করে নিয়ে আসছে। গৃহহীন মানুষকে ঠাঁই দিতে বিভিন্ন স্কুলে ১৯ টি অস্থায়ী শিবির খোলা হয়েছে। এখন পর্যন্ত ২২০০ জন মানুষ এই শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। আশ্রয় নেওয়া মানুষের জন্য পানীয় জল, খাবারের বন্দোবস্ত করা হয়েছে। তিনি আরো জানিয়েছেন এখন পর্যন্ত ছয়টি বোড সদর মহকুমা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মানুষকে উদ্ধারের জন্য কাজ করছে। আরো দুটি বোড ফায়ার সার্ভিস এর পক্ষ থেকে মজুদ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি হাওড়া নদীর জল নিয়ে তিনি জানান আতঙ্কের কারণ নেই। বর্তমানে নদীর জল কমতে শুরু করেছে। আর বাড়ার আশঙ্কা নেই বলে জানান তিনি।মূলত পাহাড়ে ভারী বৃষ্টি হলে হাওড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পায়। আর হাওড়া নদীর জলস্তর বৃদ্ধি পেলে হাওড়া নদীর পার্সবর্তি এলাকা গুলি প্লাবিত হয়। স্বাভাবিক ভাবেই বলা যায় পাহারে বৃষ্টি হলে বৃদ্ধি পেতে পারে হাওড়া নদীর জল স্তর। এতে করে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ আকার ধারন করতে পারে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য