Thursday, March 20, 2025
বাড়িরাজ্যস্বামীর বাড়িতে কলহের জেরে দাদুর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা নাবালিকা গৃহবধূর

স্বামীর বাড়িতে কলহের জেরে দাদুর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা নাবালিকা গৃহবধূর

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ আগস্ট : অশান্তির জেরে দাদুর বাড়িতে গিয়ে আত্মহত্যা নাবালিকা গৃহবধূর। মৃতার নাম কোয়েল ঘোষ। ঘটনাটি ঘটে তেলিয়ামুড়া থানার অন্তর্গত ডি.এম কলোনি এলাকায়। মৃতার স্বামীর বাড়ি আগরতলার আড়ালিয়া এলাকায়। জানা যায়, দুই বছর পূর্বে তেলিয়ামুড়া ডিএম কলোনি এলাকার বাসিন্দা নাবালিকা কোয়েল ঘোষ আগরতলার আড়ালিয়া এলাকার বাসিন্দা প্রেমিক গোবিন্দ বনিকের হাত ধরে বাড়ি ছেরে পালিয়ে যায়।

যৌবনের উন্মাদনায় সুখের সন্ধানে প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছেরে আসা কোয়েল বাড়ি ছাড়ার সময় একবারও ভাবে নি তার পরবর্তী পরিণতি কি হতে পারে। স্বাভাবিক ভাবেই যা হওয়ার তাই হল। গোবিন্দ-র হাত ধরে পালিয়ে আসার সময় কোয়েল ছিল নাবালিকা। ফলে তার কাছে সংসার ছিল একটা স্বপ্নের বিষয়। কিন্তু গোবিন্দর হাত ধরে বাপের বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে স্বামীর বাড়িতে সংসার শুরু করার সাথে সাথে কোয়েলের স্বপ্নে দেখা সংসার যেন জীবনে অভিশাপ ডেকে আনল। বিয়ের কয়েক মাসের মাথায় স্বামীর বাড়িতে শুরু হয় অশান্তি। শ্বশুর গোপাল বনিক প্রতিনিয়ত নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়িতে গিয়ে কোয়েলের উপর মানসিক নির্যাতন করত। কিছুদিন বাদে স্বামীও শুরু করে মানসিক নির্যাতন। সম্প্রতি শ্বশুর গোপাল বনিক অভিযোগ করেন পুত্রবধূ কোয়েল বনিক ওনার ৫ হাজার টাকা চুরি করে নিয়ে গেছে। সেই টাকা ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য গোপাল বনিক পুত্রবধূ কোয়েলের উপর চাপ দিতে থাকেন। কোয়েলের ছোট ভাই সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানায় শ্বশুর বাড়িতে টাকার জন্য প্রতিনিয়ত মানসিক চাপ দেওয়ার পর কোয়েল স্বামীর বাড়ি ত্যাগ করে তেলিয়ামুড়া ডিএম কলোনি দাদুর বাড়িতে চলে যায়।

দাদুর বাড়িতে যাওয়ার পর স্বামী ও শ্বশুর ফোন করে কোয়েলকে চাপ দিতে থাকে কোয়েল যেন শ্বশুরের ৫ হাজার টাকা ফিরিয়ে দেয়। অন্যথায় পরিণতি ভালো হবে না। তারপর কোয়েল নিজের মোবাইল ফোন ভেঙ্গে ফেলে। কারন কোয়েলের বক্তব্য সে কোন টাকা চুরি করে নি। এরই মধ্যে শুক্রবার সকালে কোয়েলের দাদু রেগার কাজে যায়। তিনি রেগার কাজ থেকে ফিরে এসে দেখতে পান ঘরের অভ্যন্তরে ফাঁসিতে আত্মহত্যা করেছে নাবালিকা গৃহবধূ কোয়েল।কোয়েলের আত্মহত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় তেলিয়ামুড়া থানার পুলিস। পুলিস ঘটনাস্থল থেকে মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য হাসপাতালে নিয়ে যায়। শনিবার ময়না তদন্তের পর মৃতদেহ তুলে দেওয়া হবে পরিবারের লোকজনদের হাতে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় নেমে এসেছে শোঁকের ছায়া।

পূর্ববর্তী নিবন্ধ
পরবর্তী নিবন্ধ
সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য