Wednesday, September 11, 2024
বাড়িরাজ্যধর্মনগর মহকুমায় গিয়ে দলীয় প্রচারের ঝড় তুললেন প্রতিমা ও জিতেন্দ্র

ধর্মনগর মহকুমায় গিয়ে দলীয় প্রচারের ঝড় তুললেন প্রতিমা ও জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ আগস্ট : আসন্ন ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনকে সামনে রেখে উত্তর ত্রিপুরা জেলার কদমতলায় জমে উঠেছে ভোট প্রচার। শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত একের পর এক সভা করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করল শাসক দল বিজেপি ও সিপিআইএম। শুক্রবার ছিল কদমতলা বাজারের সাপ্তাহিক বাজার বার। তাই এই দিনটিকে ভোট প্রচারের জন্য বেছে নেয় বিজেপি ও সিপিআইএম। ৫৪ কদমতলা-কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রটি সিপিআইএম দলের উর্বর ভূমি হিসাবে পরিচিত। এই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক সিপিআইএম দলের ইসলাম উদ্দিন।

অপরদিকে শাসক বিজেপি দলও কোন অংশে কম নয় এই কেন্দ্রে। যদিও পূর্বের থেকে শক্তি হ্রাস পেয়েছে সিপিআইএম-এর। এমনটা দাবি বিজেপি নেতৃত্বদের। শুক্রবার সন্ধ্যায় প্রথমে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে এক সুবিশাল মিছিল সংগঠিত করা হয় কদমতলা নটরাজ মুক্ত মঞ্চের সামনে থেকে। মিছিলটি কদমতলা বাজার এলাকা পরিক্রমা করে পুনরায় নটরাজ মুক্ত মঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়। তারপর সেখানে হয় বাজার সভা। বাজার সভায় প্রধান বক্তা হিসাবে উপস্থিত ছিলেন বিজেপি-র সংখ্যা লঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া, উত্তর জেলার সভাপতি কাজল দাস, কদমতলা কুর্তি মন্ডলের সভাপতি রাজা ধর, কদমতলা পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সুব্রত দেব সহ বিধানসভা এলাকার জিলা পরিষদ, পঞ্চায়েত সমিতি ও গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি প্রার্থীরা। বাজার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বিজেপি-র সংখ্যা লঘু মোর্চার প্রদেশ সভাপতি বিল্লাল মিয়া বলেন বিজেপি সংখ্যা লঘুদের পাশে রয়েছে। এইটা বুঝতে হবে।

ত্রিপুরা রাজ্যের বহু ইতিহাস রয়েছে। বামফ্রন্ট ও কংগ্রেসের সময়ে বহু খুন হয়েছে। কংগ্রেস ও সিপিআইএম সেই সকল ঘটনার কোন বিচার করে নি। বর্তমানে সেই কংগ্রেস সিপিআইএম-কে ভোট দেওয়ার জন্য বলছে। ত্রিপুরা রাজ্যের ইতিহাস সকলকে জানতে হবে। বিজেপির সভা শেষ হওয়ার পর শুরু হয় সিপিআইএম-এর কর্মসূচি। সিপিআইএম দলের পক্ষ থেকে প্রথমে সুবিশাল মিছিল সংগঠিত করা হয়। মিছিলটি গোটা কদমতলা বাজার ঘুরে নটরাজ মুক্ত মঞ্চের সামনে গিয়ে শেষ হয়। সেখানে হয় বাজার সভা। বাজার সভায় প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সিপিআইএম দলের রাজ্য সম্পাদক তথা বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী, উত্তর জেলার জেলা সম্পাদক অমিতাভ দত্ত, কদমতলা কুর্তি বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক ইসলাম উদ্দিন, যুবরাজ নগর বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক শৈলেন্দ্র চন্দ্র নাথ সহ অন্যান্যরা।

বাজার সভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে সিপিআইএম রাজ্য সম্পাদক জিতেন্দ্র চৌধুরী বলেন দেশের মধ্যে ৭০ ভাগের বেশি মানুষ গ্রামে বসবাস করে। দেশের অর্থনীতি কৃষি নির্ভর। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষের জীবন জিবিকা চলে কৃষির উপর নির্ভর করে। বামফ্রন্ট সরকারের সময় বছর শেষে প্রতিটি পঞ্চায়েত এলাকায় গ্রাম সভা করে পঞ্চায়েত থেকে কি কি সুযোগ সুবিধা কে কে পেয়েছে তা তুলে ধরা হতো। কিন্তু বিজেপি সরকারের সময় তা করা হয় না। গ্রাম পঞ্চায়েত ও ব্লক গুলিতে আগের ন্যায় মানুষের ভিড় দেখা যায় না। সব মিলিয়ে বিজেপি ও সিপিআইএম শুক্রবার রাতে কদমতলা বাজারে মিছিল পাল্টা মিছিল, সভা পাল্টা সভা করে নিজেদের শক্তি প্রদর্শন করে। এখন দেখার ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে গণদেবতারা কার পক্ষে রায় দান করেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য