Friday, February 7, 2025
বাড়িরাজ্যশুরু হলো ৪০ তম আগরতলা বই মেলা

শুরু হলো ৪০ তম আগরতলা বই মেলা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৫ মার্চ : একটা মুক্ত আকাশের নীচে মুক্ত চিন্তা ধারার মানুষ এই মেলায় কদিন ঘুরে বেড়াবেন। অমূল্য সম্পদ তাদের সঙ্গে যাবে। যা চিরকাল ঘুরে বেড়াবে বলে এই মানুষ গুলির সঙ্গে। রুটি মতো ফুরিয়ে যাবে, প্রেয়সীর কালো চোখ ঘোলাটে হয়ে যাবে। কিন্তু বই ভালো হলে অনন্ত যৌবন থাকবে। শুক্রবার হাপানিয়া স্থিত আন্তর্জাতিক মেলার মাঠ প্রাঙ্গণে ৪০ তম আগরতলা বই মেলার সূচনা করে এই কথা বলেন বিধানসভার অধ্যক্ষ রতন চক্রবর্তী। যৌবন বিচ্যুতিত হবে। সে স্ব-প্রেমে জড়িয়ে ধরবে মানুষের অসুস্থ মানসিকতাকে।

সুস্থ সংস্কৃতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বইয়ের বয়স ২০০ বছর হয়েছে। কিন্তু তা পৌঁছে দিয়েছে হাজার বছর পেড়িয়ে। মেসোপটেমিয়া, রোমান সভ্যতা, বিশ্বের কালজয়ী গ্রন্থ , তাদের দর্শন তুলে এনেছে বই। এই মেলায় মাঝে একটা জ্যোতি পড়েছিল। একটা অন্ধ কারের সময় কাটিয়ে এসেছে দেশ। সমস্ত কিছু স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। বইহীন কালো অন্ধকারে মানুষ ভেবে ছিল আর কোন দিন স্বজনকে দেখতে পাবে না বলে। অজানা শত্রুর আক্রমণে পৃথিবী স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল। আবার ধীরে ধীরে জীবনের স্বপ্ন আহরণ করতে পেরেছে মানুষ। রাষ্ট্রনায়ক প্রধানমন্ত্রী টিকা আবিষ্কার করে দেশের মানুষের পাশাপাশি বাইরের দেশকেও সাহায্য করেছেন বলে জানান তিনি। বাংলাদেশের সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেন দুই দেশ নিজেদের মধ্যে সুসম্পর্ক রেখে কাজ করছে। মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব কুমার দেবের নেতৃত্বে এই দুই দেশের সম্পর্ক অন্যন্য উচ্চতায় পৌঁছেছে। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর হাতে দেশ যতদিন থাকবে তত দিন ভারত সুন্দর ও সুষ্ঠ ভাবে পরিচালিত হবে। অন্যদিকে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী সেখ হাসিনার নেতৃত্বে সোনার বাংলা গড়ার স্বপ্নের দার প্রান্তে পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। উন্নয়ন শীল দেশের তালিকায় পৌঁছে গেছে বাংলাদেশ। আগামী ৩১ মার্চ স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে তা উদযাপন করা হবে বলে জানান তিনি।

এই ক্ষেত্রে ভারত সরকারের সহযোগিতা এগিয়ে যেতে সাহায্য করেছে বলেও জানান তিনি। জ্ঞানের পরিধি নিয়েই কেবল মাত্র কাজ করেনা তথ্য, সংস্কৃতি দপ্তর। মানুষের মধ্যে জ্ঞান আহরণের সচেতনতা তৈরি করে । তবেই আমার ত্রিপুরা আমার গর্বের স্বার্থকতা বলে জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।  মানুষ যতদিন একত্রিত থাকবে , ততদিন সংগবদ্ধ থাকা সম্ভব হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তিনি। সবকা সাথ সবকা বিকাশ, এক ত্রিপুরা শ্রেষ্ঠ ত্রিপুরা- র ক্ষেত্রে কোন একটা অংশকে বাদ দিয়ে লক্ষ্যে পৌছুনো সম্ভব হবে না। দেশকে উন্নতির সিখরে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হবেনা বলেও জানান। এই মেলা আগামী দিনে মিলনে পরিণত হবে। জ্ঞানের পরিধি বিস্তারের পাশাপাশি রাজ্যকে উন্নতির শিখরে নেওয়ার আহ্বান জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।

এদিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী মেবার কুমার জমাতিয়া, মন্ত্রী রাম প্রসাদ পাল, বিধায়ক সুধাংশু দাস, মেয়র দীপক মজুমদার, সহকারী হাইকমিশনার আরিফ মোহাম্মাদ সহ অন্যান্যরা। অতিথিরা বইমেলা স্টলগুলি ঘুরে করে দেখেন। আগামী ৫ এপ্রিল পর্যন্ত চলবে এই মেলা। মেলায় বইয়ের স্টল রয়েছে ১৬৪ টি। পশ্চিমবঙ্গ, আসাম, দিল্লি ও বাংলাদেশের সাথে স্থানীয় প্রকাশকেরাও মেলায় অংশ নিচ্ছেন।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

একটি উত্তর ত্যাগ

আপনার মন্তব্য লিখুন দয়া করে!
এখানে আপনার নাম লিখুন দয়া করে
Captcha verification failed!
CAPTCHA user score failed. Please contact us!

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য