স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৩ জুলাই : প্রতিদিন খবরের শিরোনাম দখল করছে সমাজ কল্যাণ ও সমাজ শিক্ষা দপ্তরের অন্তর্ভুক্ত অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলির হাল হাকিকাৎ। কোথাও গাছ ভেঙে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে পড়াশোনা লাটে উঠেছে, আবার কোথাও অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার নেশা কারবারীদের বিচরণ ভূমি হয়ে উঠেছে। এরই দৃষ্টান্ত উদাহরণ হয়ে উঠল রাজধানীর টাউন প্রতাপগড় এলাকার সূর্যসেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি।
এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মাঠে প্রতিদিন সন্ধ্যা থেকে নেশার আসর বসে। মাঠে পড়ে আছে মদের বোতল, ড্রাগসের কৌটা থেকে আবর্জনা স্তূপ পর্যন্ত জমে আছে। এক অস্বাস্থ্যকর পরিবেশের মধ্যে রয়েছে এই অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার। প্রতিদিন সন্ধ্যা হওয়ার পর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মাঠে জমে ওঠে নেশা কারবারিদের আসর। এলাকাবাসী খবর দেয় পুলিশকে। পুলিশ আসলে নেশার কারবারিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কিন্তু কিছুক্ষণ পরই আবার নেশার আসর জমে উঠে অঙ্গনওয়াড়ি স্কুলের মাঠে। এ বিষয় নিয়ে কলেজ টিলা ফাঁড়িতে পর্যন্ত অভিযোগ জানিয়েছেন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের দায়িত্বে থাকা কর্মী জয়শ্রী সেন। তিনি আরো জানান অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের মাঠ দখল করে রয়েছে এলাকার ৬-৭ টি গাড়ি। শিশুদের খেলাধুলার জায়গা পর্যন্ত বেআইনিভাবে দখল করে আছে এলাকার কিছু স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির গাড়ি। কিন্তু পুলিশের কোন কঠোর পদক্ষেপ না থাকায় অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটি বর্তমানে বন্ধ হওয়ার মুখে ধাবিত হচ্ছে। কারণ অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে মধ্যে এলাকার অভিভাবকরা শিশুদের পাঠাতে চাইছে না।
রেজিস্টার ভুক্ত ৪৮ জন ছাত্র ছাত্রী হলেও মাত্র তিন থেকে চার জন প্রতিদিন অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারে আসে। অঙ্গনওয়াড়ি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মী জানিয়েছেন যদি স্কুলের দেওয়াল থাকতো তাহলে আজ এই ধরনের সমস্যায় ভুগতে হতো না। বহুদিন আগে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারটির দেওয়াল ভেঙে পড়েছিল। তারপর দেওয়াল নির্মাণ না করা এই অবস্থা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে তারা বহুবার প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয়নি। এছাড়াও বলার অপেক্ষা রাখে না দায়িত্বে থাকা সিডিপিও সহ অন্যান্য আধিকারিকদের দায়িত্ব রয়েছে নির্দিষ্ট সময় অন্তর অন্তর অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারগুলি পরিদর্শন করার, কিন্তু দায়িত্বহীনতার কারণে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টার পরিদর্শন হয় না। লাটে উঠেছে অঙ্গনওয়াড়ি সেন্টারের সুফল। কারো কারো মতে অফিসার পদে দায়িত্ব পেয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিক এবং সিডিপিওরা এ ধরনের গাফিলতি অত্যন্ত উদ্বেগ এবং প্রত্যাশা হীন বলে মনে করছে স্থানীয়রা।