স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৬ জুলাই : আবারো সংবাদ শিরোনামে গন্ডাছড়া। মন্ত্রী টিংকু রায় সহ প্রতিনিধি দলের চার সদস্য গন্ডাছড়া মহকুমা থেকে ফিরে আসার ২৪ ঘন্টা অতিক্রম করতে না করতেই গভীর রাতে আগুনে পুড়লো দুটি দোকান। জানা যায়, গন্ডাছড়া মহকুমায় আনন্দ মেলায় একটি মারপিটের ঘটনায় শনিবার আগরতলার জিবি হাসপাতালে পরমেশ্বর রিয়াং নামের এক অসহায় মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিল। আর তখন থেকেই অশান্ত হয়ে ওঠে গন্ডাছড়া মহকুমা। রাতেই ছড়িয়ে পড়ে অশান্তির আগুন। উশৃংখলতার সেই আগুনে ঝলকে গিয়েছিল একাধিক ঘরবাড়ি।
সর্বহারা হয়ে গিয়েছিল সেখানকার সাধারণ মানুষ। পুড়ে যায় গবাদি পশু দোকানপাট সমস্ত কিছু। বন্ধ হয়ে যায় রুজি রোজগারের পথ। উশৃংখলতার সেই আগুনে ১১ টি বিয়ে পন্ড হয়ে গিয়েছিল। সোমবার গন্ডাছড়া মহকুমা পরিদর্শন এগিয়ে রাজ্য সরকারের মন্ত্রী টিংকু রায় সহ চারজনের প্রতিনিধি দলটি শুনেছিল সর্বহারাদের সেই হৃদয়বিদারক ও রোমহর্ষক আর্তনাদ। সর্বহারারা চিৎকার করে শুনিয়েছিলেন তাদের অশান্তির আগুনে সবকিছু পুড়ে যাওয়ার কাহিনী।
সবকিছু শোনার পর মন্ত্রী টিংকু রায় জানিয়েছিলেন সর্বহারারা এখন রাস্তায় নেমে পড়েছেন। আর এটা ছিল তাদের বহিঃপ্রকাশ। তারা যে ঘটনার দুদিন পর এসেছেন তা তিনি স্বীকার করে নিয়ে জানান, মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশেই তারা এখানে এসেছেন। মুখ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ডাক্তার মানিক সাহা পুরো ঘটনার দিকে নজর রেখে চলেছেন। সর্বহারাদের প্রত্যেককে অতি দ্রুত ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত দুদিনের মধ্যে যাতে সেই ক্ষতিপূরণের ২৫ শতাংশ দেওয়া যায় এর জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আধিকারিকদের। সেই নির্দেশ অনুযায়ী জেলাশাসক এবং রাজস্ব দপ্তরের আধিকারিকরা কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এই দুর্যোগপূর্ণ সময়ের মধ্যে মানুষকে সংযত থাকার আহ্বান জানান মন্ত্রী টিংকু রায়। কিন্তু দুর্ভাগ্য মন্ত্রী টিংকু রায় সহ প্রতিনিধি দলের চার সদস্য গন্ডাছড়া মহকুমা থেকে ফিরে আসার ২৪ ঘন্টা অতিক্রম করতে না করতেই গভীর রাতে আগুনে পুড়লো দুটি দোকান। মঙ্গলবার সকালবেলায় সর্বহারারা দেখতে পায় তাদের পুড়ে যাওয়া দোকানের ধ্বংসাবশেষ
। অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা জানিয়েছেন সঠিক সময়ে তারা এসেছেন আগুন নেভানোর জন্য। সোমবার রাতে এই আগুনে প্রায় ২৭ লক্ষ টাকার কাছাকাছি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। কিন্তু অগ্নি নির্বাপক দপ্তরের কর্মীরা তাদের কাছে পর্যাপ্ত পরিমাণে জলের মজুত না থাকার জন্য উস্মা প্রকাশ করেন। সকাল বেলায় টহলদারিতে মগ্ন হয়ে পড়ে পুলিশ ও নিরাপত্তা বাহিনীর জওয়ানরা। ৫-৬ জন ব্যক্তি একত্রিতভাবে কোথাও জড়ো না হওয়ার জন্য প্রশাসনের তরফে মাইকিং করা হয়। ধলাই জেলার জেলাশাসক সাজু ওয়াহিদ এ পোস্ট করে জানিয়েছেন দুটি দোকান অগ্নিদগ্ধ হয়েছে শর্ট সার্কিট এর কারণে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কেউ যেন অপ্রয়োজনীয় গুজব না ছড়ায় এর প্রতি আবেদন জানান তিনি এই পোস্টের মধ্য দিয়ে।