স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৪ জুলাই : বনধের প্রভাব পড়ল না আগরতলা শহরে। সকাল থেকেই ছিল যান চলাচল স্বাভাবিক। বনধ ডাকার মূল কারণ হলো দুর্বৃত্তদের হাতে আক্রান্ত হয়ে জেলা পরিষদের সিপিআইএম প্রার্থী বাদল শীলের মৃত্যু হয় শনিবার। ঘটনার পর সন্ধ্যায় বামফ্রন্টের পক্ষ থেকে রবিবার ১২ ঘন্টার বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। বলা হয়েছিল এই বনধ যাতে সকলের গুরুত্ব দিয়ে মানে।
কারণ শাসক দল যেভাবে রাজ্যকে পরিচালনা করার চেষ্টা করছে সেভাবে গ্রহণ করছে না রাজ্যবাসী। তাই এই বনধ যাতে সমর্থন করা হয় তার জন্য দলের নেতৃত্ব আহবান জানিয়েছিলেন। কিন্তু সকাল থেকে ছিল এক ভিন্ন রূপ। একদিকে ছুটির দিন অপরদিকে খার্চি পূজা। তাই সকাল থেকে ছিল মানুষের ব্যস্ততা। যান চলাচল ছিল স্বাভাবিক। মেলার মাঠ এলাকায় ছাত্র যুবরা রাস্তায় নেমে গাড়ি চালকদের বাধা দিলেও কেউই বনধ গ্রহণ করেনি। স্বাভাবিকভাবে বাজার হাট থেকে শুরু করে দোকানপাট সব কিছুই ছিল স্বাভাবিক। বলতে গেলে আংশিক সাড়াও পড়েনি আগরতলা শহরে। এমনকি আগরতলা শহরের প্রধান বাস স্ট্যান্ড নাগেরজলা, রাধানগর সহ সব জায়গা থেকেই ছিল দূরপাল্লার বাসগুলির চলাচল স্বাভাবিক। এবং দেখা যায় মানুষ সকাল থেকেই বাস, অটো সহ বিভিন্ন গাড়ি দিয়ে খয়েরপুর চৌদ্দ দেবতা মন্দিরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এক প্রকার ভাবে ফ্লপ হয়েছে বামফ্রন্টের ডাকা বনধ।