স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৩ জুলাই : রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার ভোটের দিনক্ষণ ঘোষণা করতেই রাজনৈতিক সন্ত্রাসে নেমে পড়েছে কিছু রাজনৈতিক দলের দুর্বৃত্তরা। রাজ্যের পঞ্চায়েত এলাকাগুলিতে শুরু হয়ে গেছে পুরোদমে রাজনৈতিক লড়াই। কিন্তু এর রাজনৈতিক লড়াই করতে গিয়ে বেশি শক্তিকে কাজে লাগিয়ে আশ্রয় নিচ্ছে সন্ত্রাসের। পুলিশ নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ। রাজনৈতিক সন্ত্রাসে জুবুথুবু রাজ্য। ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘোষণা হওয়ার কয়েক ঘন্টা পর থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে বিক্ষিপ্ত সন্ত্রাস। এর সন্ত্রাসে শাসক বিরোধী সবকটি রাজনৈতিক দলের দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, নেতা কর্মীদের বাড়ির ঘরে আক্রমণ থেকে শুরু করে একাধিক ঘটনা জনসম্মুখে এসেছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে জনগণের মধ্যে। ত্রি-স্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন ক্ষণ ঘোষনার পর থেকে রাজ্য জুড়ে শুরু হয়ে গেছে নির্বাচনী সন্ত্রাস। গোমতী জেলায়ও বৃদ্ধি পাচ্ছে রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনা।
শুক্রবার গভীর রাতে উদয়পুর জামতলাস্থিত কংগ্রেসের জেলা কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় দুষ্কৃতিরা। জেলা কংগ্রেস কার্যালয়ের দরজা ভেঙ্গে কার্যালয়ে থেকে কম্পিউটার ও প্রিন্টার লুট করে নিয়ে যায় দুষ্কৃতিরা। ঘটনার খবর পেয়ে শনিবার গোমতী জেলা কংগ্রেসের সভাপতি টিটন পাল ক্ষতিগ্রস্ত দলীয় কার্যালয়ে ছুটে যান। সার্বিক পরিস্থিতি দেখে তিনি রাধা কিশোর পুর থানার পুলিশকে খবর দেন। পুলিশ ঘটনাস্থলে ছুটে গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। গোমতী জেলা কংগ্রেস সভাপতি টিটন পাল সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানান শুক্রবার গভীর রাতে শাসক দল আশ্রিত সমাজদ্রোহীরা গোমতী জেলা কংগ্রেসের কার্যালয় আগুন দিয়ে পুরিয়ে দিয়েছে। জেলা কংগ্রেস কার্যালয় থেকে কম্পিউটার, প্রিন্টার সহ মূল্য বান জিনিস পত্র লুট করে নিয়ে গেছে।
এই নিয়ে চার বার দলীয় কার্যালয়ে আগুন লাগানো হয়েছে। থানায় মামলাও দায়ের করা হয়েছে। কিন্তু পুলিশ দুষ্কৃতিতে গ্রেপ্তার করার জন্য কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করে নি। জেলা পরিষদের চার নং ওয়ার্ডের বাম মনোনীত প্রার্থী বাদল শীলের উপর প্রাণঘাতী আক্রমন হয়। এই আক্রমনকারীদের গ্ৰেপ্তারের দাবিতে বামফ্রন্ট থানা ঘেরাও করে রাস্তা অবরোধ করে। প্রতিবাদ চলছে রাস্তার উপর। প্রায় এক ঘন্টা চলে অবরোধ। এই অবরোধে সামিল হন দুই বিধায়ক দীপঙ্কর সেন, অশোক মিত্র সহ সিপিআইএম দক্ষিণ জেলা সম্পাদক বাসুদেব মজুমদার সহ অন্যান্য নেতৃত্ব। যদি প্রশাসন কোন ব্যাবস্থা গ্ৰহন না করে এই অবরোধ কর্মসূচি থেকে হুঁশিয়ারি দেন বামফ্রন্ট ত্রিপুরা বন্ধ এমনকি রাস্তা অবরোধ কর্মসূচি করবে।এদিকে বিজেপি অফিস ধ্বংস করে দিল দুর্বৃত্তরা। ঘটনা বিশালগড় অরবিন্দ নগরে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানায় ভারতীয় জনতা পার্টির নেতৃত্ব। তাদের অভিযুক্তির বিরোধী দলের দিকে। তারা অভিযুক্তদের কঠোর শাস্তি দাবি করেন। অপরদিকে ধর্মনগরে বিজেপি নেতার বিলাসবহুল গাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিল দুর্বৃত্তরা
অভিযোগের তীর বিরোধী রাজনৈতিক দলের দিকে। গত দুদিনে একাধিক রাজনৈতিক সন্ত্রাসের ঘটনায় হাসপাতালে চিকিৎসা কেন্দ্র রয়েছে বিরোধী দলের প্রার্থীও। শনিবার দুপুরে বামফ্রন্টের একটি প্রতিনিধি দল রাজ্য নির্বাচন কমিশনার শরদিন্দু চৌধুরী কাছে যান। উপস্থিত ছিলেন বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি বিস্তারিত তুলে ধরেন নির্বাচন কমিশনারের কাছে। সমস্ত ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত করার পাশাপাশি নির্বাচনে শান্তি পরিবেশ ফিরিয়ে আনার দাবি জানান বিরোধীদল নেতা।