স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৮ জুলাই : বাবা ও স্বামীকে চা বাগানের শ্রমিক বানিয়ে নিজের স্বার্থ সিদ্ধির জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছেন এক মহিলা গ্রাম প্রধান। এমনটাই অভিযোগ কমলা সাগর বিধানসভার অন্তর্গত সেকেরকোট মালাবতী চা বাগানে। জানা যায়, কমলা সাগর বিধানসভার অন্তর্গত সেকেরকোট মালাবতী চা বাগানে শ্রমিক হিসেবে দীর্ঘ অনেক বছর ধরে কাজ করে আসছেন অনেকেই, কিন্তু এই চা বাগানের প্রকৃত শ্রমিকদের নিজস্ব কোন জমি ছিল না।
এই শ্রমিকদের সামান্য জমির বিশেষ প্রয়োজন ছিল। এরই মধ্যে চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে এলাকার প্রধান সহ মালাবতি চা বাগান শ্রমিকরা মিলে পশ্চিম ত্রিপুরা জেলার জেলা শাসকের কাছে তাদের জমির জন্য আবেদন করার প্রস্তুতি নেন একটি সভার মাধ্যমে। সভায় উপস্থিত ছিলেন সেকেরকোট গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান দীপ্তি দে। এই সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছিল যারা প্রকৃত চা শ্রমিক এবং যাদের কোন জায়গা সম্পত্তি নেই তারাই ভূমির জন্য জেলাশাসকের কাছে আবেদন করতে পারবে। গ্রাম প্রধান বলে কথা সুযোগ হাতছাড়া করা মোটেও উচিত নয় বলে মনে করেছিলেন মহিলা প্রধান দীপ্তি দে। সুযোগ বুঝে তিনি নিজের স্বামী এবং বাবাকে চা বাগানের প্রকৃত শ্রমিক বলে জমি নেই বলে জেলাশাসকের কাছে শ্রমিকদের নামের সঙ্গে তাদের নাম বসিয়ে দেন। জানা গেছে এলাকার মহিলা প্রধান দীপ্তি দে -র স্বামী নিখিল দাসের নিজস্ব বাড়ি রয়েছে, প্রধানের স্বামী নিখিল দাস ত্রিপুরা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে একজন স্থায়ী ব্যবসায়ী।
আর প্রধান দীপ্তি দে -র এর বাবা দীপক দে যদিও এই মালাবতী চা বাগানের শ্রমিক ছিলেন। কিন্তু সেকেরকোট সহ আরো এক দুইটি এলাকায় নিজস্ব সম্পত্তি রয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও মহিলা প্রধান দীপ্তি দে নিজের পদ এবং ক্ষমতাকে অপব্যবহার করে নিজের স্বামী এবং বাবাকে ভূমিহীন বলে পরিচয় দিয়ে চা বাগানের জমি হাতিয়ে নিতে মরিয়া হয়ে উঠে। যদিও এই বিষয়ে প্রধান দীপ্তি দে মানুষের কাছে বলে বেড়াচ্ছেন জেলাশাসকের কাছে ভূমি চেয়ে রেজুলেশনে কিভাবে স্বামী এবং পিতার নাম বসানো হয়েছে তা নাকি তিনি জানেন না। অথচ চা বাগানের অন্যান্য শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা গেছে জেলা শাসকের কাছে এই রেজুলেশন পাঠানোর আগে প্রধান দিপ্তি দে -র সামনে সকলের নাম পড়ে শোনানো হয়েছে। শাক দিয়ে মাছ ঢাকার জন্য তিনি সব ধরনের চেষ্টা করে বেড়ালেও চা বাগানের শ্রমিকদের কাছে সবকিছুই পরিষ্কার হয়ে গেছে। গত ১৭ জানুয়ারি শ্রমিকদের পক্ষ থেকে এই রেজুলেশন পশ্চিম জেলার জেলা শাসক অফিসে জমা পড়ার পর শ্রমিকদেরকে জমি প্রদানের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে প্রক্রিয়া শুরু করা হয়েছে বলে জানান এলাকাবাসী। তবে মহিলা গ্রাম প্রধান দীপ্তি দে -র এই ধরনের কর্মকান্ডে মালাবতী চা বাগানের শ্রমিক থেকে শুরু করে গোটা সেকেরকোট এলাকায় সমালোচনার ঝড় বইছে।