স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুলাই : কৈলাসহর শহরে বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবা, দলমত নির্বিশেষে মহকুমা শাসকের দ্বারস্থ হলেন এলাকাবাসী। জানা যায়, রাজ্যে ২০১৮ সালে রাজনৈতিক পালা বদলের পর কৈলাসহরের বিদ্যুৎ পরিষেবার দায়িত্ব বেসরকারী সংস্থা “সাই কম্পিউটার লিমিটেডের” উপর দেওয়া হয়। মূলত বিদ্যুৎ পরিষেবার মান উন্নয়নের লক্ষ্যে রাজ্য সরকার তাদের উপর দায়িত্ব দিলেও নিম্নমানের পরিষেবা দিচ্ছে বলে দাবি কৈলাসহরের মহকুমাবাসীর। বিগত তিন মাস ধরে কৈলাসহর পুর পরিষদের অন্তর্গত ৮ নং ওয়ার্ডের পি.ডব্লিউ.ডি রোডের মধ্যপাড়ায় বিদ্যুতের সমস্যায় নাজেহাল সাধারণ মানুষ।
এবিষয় নিয়ে স্থানীয় জনগণ সাই কম্পিউটারের অফিসে অনেকবার ধর্না প্রদর্শনের পরও কাজের কাজ কিছুই হয়নি। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়ে বুধবার দুপুরে এলাকাবাসী মহকুমা শাসকের নিকট এক ডেপুটেশন প্রদান করেন। তাদের অভিযোগ বিগত বহু দিন থেকে এই এলাকায় বিদ্যুতের সমস্যার কারণে এলাকার ট্রান্সফরমারটি বিকল হওয়ার পাশাপাশি আগুন ধরে যায়। যার ফলশ্রুতিতে স্থানীয় জনগণের বাড়ি ঘরের টিভি, ফ্রিজ, গিজার, এ.সি থেকে শুরু করে অন্যান্য যাবতীয় বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম নষ্ট হয়ে গেছে। তাদের প্রশ্ন, এই দায়ভার কারা নেবে? সাই কম্পিউটারকে এই বিষয়ে কখনো মৌখিক আবার কখনো লিখিত অভিযোগ জানানোর পরও কোনো সাড়া দিচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে স্থানীয়রা মহকুমা শাসকের নিকট ডেপুটেশন প্রদান করেন। মহকুমা শাসক তাদের আশ্বস্ত করেন, তিনি এই বিষয়টি অবিলম্বে বিদ্যুৎ দপ্তর এবং সাই কম্পিউটার সংস্থার গোচরে নিয়ে সমস্যার সমাধানের পথ খোঁজে বের করবেন।
স্থানীয়রা দাবি করেন অবিলম্বে যদি এই সমস্যার সমাধান না হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে তারা সাই কম্পিউটারের বিরুদ্ধে বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলবে। তবে বিদ্যুতের সমস্যা শুধু রাজ্যের কৈলাসহরে নয়, গোটা রাজ্যে চলছে বিদ্যুতের সমস্যা। মানুষকে দৈনন্দিন কাজকর্ম ছেড়ে দিয়ে রাস্তা অবরোধ কিংবা মহকুমা শাসকের দারস্থ হতে হচ্ছে। আর মন্ত্রী সাংবাদিক সম্মেলন করে বলছেন, লোডশেডিং নয়, পাওয়ার কাট হচ্ছে। এলাকায় এলাকায় বিদ্যুৎ এর ব্যবহার বেড়েছে। বিদ্যুৎ অফিসের কর্মীদের অবগত করে বিদ্যুৎ ব্যবহার করার জন্য আগরতলা বাসীকে বলছেন মন্ত্রী। কিন্তু দেখা গেছে বিদ্যুৎ অফিসে গেলে বিদ্যুৎ কর্মীরা জানিয়ে দিচ্ছেন বাড়িতে বিদ্যুৎ ব্যবহারের লোড বাড়ানোর জন্য। আর এর জন্য ফর্ম পূরণ করে মানুষের কাছ থেকে আদায় করা হচ্ছে হাজার হাজার টাকা। বিকাশ ত্রিপুরায় সবকিছু বিকাশ হলেও বিদ্যুৎ নিগমের বিকাশ শুধু মন্ত্রীর মুখে মুখে।