Wednesday, May 28, 2025
বাড়িরাজ্যরেল স্টেশন থেকে ১১ জন বাংলাদেশী আটক, ক্লু বের করতে ব্যর্থ প্রশাসন

রেল স্টেশন থেকে ১১ জন বাংলাদেশী আটক, ক্লু বের করতে ব্যর্থ প্রশাসন

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুলাই : দেশবাসীকে চিন্তায় ফেলেছে ত্রিপুরা দিয়ে বাংলাদেশীদের অনুপ্রবেশ। কারণ প্রায় প্রতিদিনই বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারীদের জালে তুলছে পুলিশ। কিন্তু আভ্যন্তরীণ কারণ জনসম্মুখে তুলে ধরতে ব্যর্থ পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা শাখা। এতে কপালে চিন্তার ভাঁজও পড়ছে নিরাপত্তা নিয়ে। কিন্তু কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন সিমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। প্রায় প্রতিদিন দলে দলে বাংলাদেশী নাগরিকরা অবৈধভাবে রাজ্যে আসছে।

 আবার পুলিশের হাতে ধরাও পড়ছে। কিন্তু তার পরও সিমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কুম্ভ নিদ্রা ভঙ্গ হচ্ছে না। মঙ্গলবার বিকালে ফের একবার আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আটক করল আগরতলা জিআরপি থানার পুলিশ। আগরতলা জিআরপি থানার ওসি তাপস দাস জানান ধৃত ১১ জন বাংলাদেশী নাগরিকদের মধ্যে এক নাবালিকাও রয়েছে। তারা কোন ধরনের বৈধ কাগজ পত্র ছাড়া অবৈধভাবে সিমান্ত অতিক্রম করে রাজ্য এসেছে। তারা দেশের বিভিন্ন রাজ্যে যাওয়ার জন্য আগরতলা রেল স্টেশনে আসে। ধৃতদের বিরুদ্ধে আগরতলা জিআরপি থানায় সুনির্দিষ্ট ধারায় মামলা রুজু করা হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে দুই জন ভারতীয় দালালকে মধুপুর থানার অন্তর্গত কৈয়াঢেপা এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে। ধৃতদের পুলিশ রিমান্ডের আর্জি জানিয়ে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয়েছে ভারতীয় ও বাংলাদেশী অর্থ। ওসি তাপস দাস জানান গত তিন দিনে মোট ৩৩ জন বাংলাদেশী নাগরিককে আগরতলা রেল স্টেশন থেকে আটক করা হয়েছে। প্রায় প্রতিদিন আগরতলা রেল স্টেশন থেকে ধরা পড়ছে দলে দলে বাংলাদেশী।

এই নিয়ে সংবাদ সম্প্রচার হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কুম্ভ নিদ্রায় আচ্ছন্ন সিমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানরা। প্রশ্ন হচ্ছে সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের নজরদারি এড়িয়ে কি ভাবে এই বাংলাদেশী নাগরিকরা দলে দলে রাজ্যে আসছে ? তাহলে সিমান্ত রক্ষী বাহিনীর জওয়ানদের কোন দুর্বলতা রয়েছে ? তবে ভিন্ন মানুষের ভিন্ন অভিমত, কারুর মতে হয়তো মানব পাচারে জড়িয়ে পড়েছে সীমান্ত রক্ষীদের কিছু জওয়ান, আবার অনেকের মতে পর্যাপ্ত জওয়ানের টহরদারী সীমান্তে না থাকার কারণে এ ধরনের অনুপ্রবেশ বেড়েছে। কিন্তু সবটাই যেন অন্ধকার ঘরে কালো বিড়াল খোঁজার মতো ঘটনা। তবে পুলিশের ভূমিকা নিয়ে এবং গোয়েন্দা শাখার তদন্ত নিয়ে রীতিমতো প্রশ্ন উঠছে, তারা দাবি করছে অনুপ্রবেশকারীদের সহযোগিতা করা দালালদের জালে তুলছে। যদি সত্যিই দালালদের জালে তুলে থাকে তাহলে এখন পর্যন্ত কোন ক্লু বের করতে পারছে না কেন প্রশাসন? আরো একটি বিষয় উদ্বেগের, সেটা হল অনুপ্রবেশকারীদের মধ্যে সিংহভাগ মহিলা। কেউ কেউ গত কয়েকদিনে বৃহন্নলার মতো ব্যবহার করেন। সার্বিক বিষয়টি এখন তদন্ত সাপেক্ষ।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!