স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ৩ জুলাই : জল নিষ্কাশনী ব্যবস্থার অভাবে নতুন বাজার ভিলেজের সুকান্ত কলোনি পূর্বাংশ জলমগ্ন। এলাকার সাথে সংযোগ রক্ষাকারী সব কয়টি রাস্তা চলাচল অযোগ্য হয়ে পড়েছে। এলাকাবাসী একপ্রকার ভাবে গৃহবন্দী। বেশ কিছু বাড়িঘরে হাঁটু সমান জল জমে আছে। সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার এলাকাবাসীরা স্থানীয় ভিলেজ কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও শাসকদলের মন্ডল নেতৃত্বের বিরুদ্ধে নিজেদের ক্ষোভের কথা জানান। ২০১৮ সালের রাজ্য সরকার পরিবর্তন হওয়ার পর এলাকার মানুষ অনেক আশায় বুক বেঁধেছিল, যে বর্তমান সরকার তাদের সমস্যা সমাধানে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
কিন্তু এলাকাবাসী অত্যন্ত ক্ষোভের সাথে জানান যে সমস্যা সমাধান থাক দূরের কথা, বর্তমানে তারা কি দুরবস্থায় রয়েছে তা স্বচক্ষে দেখার প্রয়োজন পর্যন্ত মনে করেন না স্থানীয় ভিলেজ কমিটির জনপ্রতিনিধিরা। এলাকাবাসীরা নতুন বাজার ভিলেজ কমিটির দারস্থ হলে ভিলেজ কর্তৃপক্ষ মন্ডল সভাপতির সাথে কথা বলতে বলছে। আবার মন্ডল সভাপতি বলছে এটা পঞ্চায়েতের কাজ, তিনি এ ব্যাপারে কিছুই বলতে পারবেন না। এমন অবস্থায় এলাকার মানুষজন ঠিকভাবে বুঝে উঠতে পারছেন না তাদের এই সমস্যার সমাধান কে করবে? এলাকাবাসীদের আরো অভিযোগ নতুন বাজার ভিলেজ কমিটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মানিক সাহা গত ছয় বছরে একবারের জন্যও তাদের এলাকা পরিদর্শনে যায় নি। কিংবা এলাকাবাসীর কাছে তাদের সমস্যার কথা জানালেও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের কাছ থেকে কোন সদুত্তর পাওয়া যায় না বলে অভিযোগ। নিরুপায় হয়ে এলাকাবাসী সংবাদ মাধ্যমের দ্বারস্থ হয়ে তাদের অসুবিধার কথাগুলি তুলে ধরেন।
এলাকাবাসীর অভিযোগ করেন রাস্তার বেহাল অবস্থার জন্য তাদের অত্যন্ত দুর্বিষহ জীবন অতিবাহিত করতে হচ্ছে। যানবাহন থাক দূরের কথা এলাকায় কোন রিস্কা পর্যন্ত প্রবেশ করে না। যার ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন সামগ্রী বাজার থেকে বাড়ি নিয়ে আসতে এলাকাবাসীদের প্রতিনিয়ত সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হতে হচ্ছে। অসুস্থ রোগী ও বিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রী সকলকেই প্রতিনিয়ত সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে। রাস্তাগুলোর অবস্থা এতটাই বেহাল যে পায়ে হেঁটে চলাচল করাও অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে রয়েছে। এমনকি একজন রোগীকে পর্যন্ত রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য অবস্থান নেই। মনে হয় যেন কোন আদিকালে বসবাস করছে গ্রামবাসী বলে অভিযোগ। বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী জানান, তাদের সমস্যা সমাধানে প্রশাসন যদি দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণ না করে তাহলে তারা পথ অবরোধ করতে বাধ্য হবে।