স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জুন : কৃষি দপ্তরে ৫৯ টি আগ্রী অফিসার পদে নিয়োগ করা হচ্ছে। বুধবার সচিবালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরেন রাত্রের কৃষি দপ্তরের মন্ত্রী রতন লাল নাথ। তিনি বলেন, কৃষি দপ্তরে ৬০ টি আগ্রী অফিসার পদে নিয়োগের জন্য পরীক্ষার জন্য বেশ কয়েক মাস আগে পাঠানো হয়েছিল টি পি এস সির কাছে। পরীক্ষা নেওয়ার পর টি পি এস সি ৬০ টি পদের মধ্যে ৫৯টি অফিসার পদে নিয়োগের জন্য বাছাই করে করে পাঠিয়ে দিয়েছে রাজ্য কৃষি দপ্তরের কাছে। এই ৫৯ জনের মধ্যে পশ্চিম জেলায় পেয়েছে ১৮ জন, দক্ষিণ জেলায় ১৩ জন, খোয়াই জেলায় ১১ জন, গোমতী জেলায় ৮ জন, সিপাহীজলা জেলায় তিনজন, উত্তর জেলায় তিনজন, ধলাই জেলায় দুজন এবং ঊনকোটি জেলায় একজন।
এর মধ্যে ইউ আর কেটাগরিতে পেয়েছে ৪০ জন, এস সি ক্যাটাগরিতে ৮ জন, এস টি ক্যাটাগরিতে ১২ জন। ৩৩ শতাংশ মহিলা সংরক্ষিত ক্যাটাগরিতে পেয়েছে ২১ জন। পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন খুব শীঘ্রই অফার বন্টন করা হবে। অফার তৈরীর শুরু হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর সবুজ সংকেত পেলেই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অফার বন্টন করা হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন মন্ত্রী রতন লাল নাথ। মন্ত্রী রতনলাল নাথ এদিন আরো জানিয়েছেন কৃষকদের পাশে রয়েছে বর্তমান রাজ্য সরকার। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোন কৃষকের ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হলে দুটি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে সেই কৃষককে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়ে থাকে। সাহায্য করা হয়ে থাকে প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার মাধ্যমেও। ২০২৩ সালের ১৬ থেকে ১৮ নভেম্বর পর্যন্ত ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে ৫৮ হাজার ২১০ জন কৃষকের ২৩ হাজার ১৭১ হেক্টর কৃষি জমির ফসল ক্ষতি হয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত ধানের জন্য প্রতি হেক্টর পিছু ৮৫০০ টাকা করে মোট ১৪ কোটি ৫৮ লক্ষ ৯৪ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার মঞ্জুরি দিয়ে দিয়েছে রাজ্য সরকার। সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে দক্ষিণ জেলায়।
এই জেলার ১৪ হাজার ৮০১ জন কৃষক ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে। গোমতী জেলায় ক্ষতিপূরণের টাকা পাবে ৯ হাজার ৬১৬ জন কৃষক। পশ্চিম ত্রিপুরা জেলায় পাবে ৬ হাজার ৭৩৬ জন কৃষক। এছাড়া টমেটো, মরিচ,আলু, শশা, ফুলকপি,বাঁধাকপি, পান ইত্যাদি ফসল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এমন কুড়ি হাজার ৭৮ জন কৃষককে দেওয়া হবে সাত কোটি ৩৮ লক্ষ চব্বিশ হাজার টাকা। কৃষি মন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন আগামী চার জুলাই জোলাইবাড়িতে একটি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কৃষকদের একাউন্টে এই টাকা পাঠিয়ে দেওয়া হবে। কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ আরো জানিয়েছেন আগামী ১০-১৫ দিনের মধ্যেই হিসেব অনুযায়ী ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকরা প্রধানমন্ত্রী ফসল বীমা যোজনার ক্ষতিপূরণ পেয়ে যাবে।