Saturday, December 21, 2024
বাড়িরাজ্যঅনৈতিকভাবে তৃতীয়বার সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার : জিতেন্দ্র

অনৈতিকভাবে তৃতীয়বার সরকারের প্রতিষ্ঠিত হয়েছে নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে সরকার : জিতেন্দ্র

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২৬ জুন : প্রকাশ কারাত বলেছেন দেশবাসী লজ্জাজনক পরাজয় দেখেছে, কিন্তু এত লজ্জা জনক জয় কখনো দেখে নি। কিন্তু সদ্য সমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনের ফলাফলে বিজেপি এ লজ্জা জনক জয় পেয়েছে। এ জয় বিজেপি হাসিল করেছে সমস্ত ধরনের অনৈতিকতার হাত ধরে এবং অসাংবিধানিক কাজকর্ম করে। পাশাপাশি ইডি সিবিআই এবং দিল্লী পুলিশকে ব্যবহার করে জয় পেয়েছে বিজেপি। তাই এ জয় বিজেপির অনৈতিক। তাই এ সরকার দিয়ে অনৈতিক কাজ ছাড়া আর কিছু হতে পারে না। এবং সরকারে বসে এই সরকার মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে দেশের ৮০ লক্ষ সর্বভারতীয় নীট ও নেট পরীক্ষায় বসা ছাত্র-ছাত্রীর ভবিষ্যৎ অনিশ্চিতার দিকে ঠেলে দিয়েছে।

 পরবর্তী সময়ে লোক দেখানো সিবিআই তদন্ত দেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের এক শতাংশ মানুষ আর সিবিআই -কে বিশ্বাস করে না। তারপরেও তদন্তে যাদের নাম বের হয়ে আসছে তারা হল শাসকদলের ঘনিষ্ঠরা। তারা সকলে ভারতীয় জনতা পার্টির সরকার প্রতিষ্ঠিত রাজ্যগুলির বাসিন্দা। তাই বলা হচ্ছে পুনরায় তৃতীয়বার সরকারের দেশকে ভারতীয় জনতা পার্টি দেশকে লুট করার জন্য। বুধবার প্যারাডাইস চৌমুহনি এলাকায় রাজ্যের স্বাস্থ্য, শিক্ষা ও কর্মসংস্থানে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে আয়োজিত সভায় এ কথা বলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা জিতেন্দ্র চৌধুরী। তিনি আরো বলেন, দেশে শিক্ষা নিয়ে এ সরকার প্রতিষ্ঠিত হলেও তারা সাময়িক দেশবাসী কাছে নত থাকবে। কিন্তু তাদের এ ধরনের অনৈতিক ও অসংবিধানিক কাজ দেশে বজায় রাখার চেষ্টা করবে। কারণ তাদের চালিকা শক্তি হলো রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক সংঘ। যারা এদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, দেশের তেরঙ্গা ঝান্ডার অস্বীকার করেছিল তারা, এমনকি দেশের সংবিধানকেও তারা অস্বীকার করেছিল। তাই এ সরকার মানুষের স্বাথে কিছু করতে পারে না।

এবং তাদের সরকার রয়েছে ত্রিপুরায়। তাই এই সরকারের বিরুদ্ধে এই লোকসভা নির্বাচনে যতটা রুখে দাঁড়ানো গেছে তার চেয়ে আরো বেশি রুখে দাঁড়ানোর চেষ্টা আগামী করে দেশ থেকে সরকারটাকে পরাস্ত করতে হবে। তিনি রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে বলেন, গত দুর্গাপূজার পর থেকে ত্রিপুরায় কোন রেগার কাজ নেই। আর বিভিন্ন ব্লকের বিডিওরা গত চার জুনের পর হিসেব লক্ষ লক্ষ টাকার রেগার কাজ হয়েছে, সেই কাজের গোঁজা মিল কেউ খুঁজে পাচ্ছে না। অপরদিকে রাজ্যের বেকার যুবকরা কাজের সন্ধানে ত্রিপুরার বাইরে গিয়ে লাশ হয়ে ফিরে আসছে। এবং আগরতলা শহরেও এখন শ্রমিকদের ভিড় বাড়ছে। বাড়ছে রিক্সা চালক। কারণ গ্রামে কাজ না থাকায় শহরে এসে তারা কিছু আয় করার চেষ্টা করছে জানান তিনি। গত ছয় বছরে বিভিন্ন দপ্তরের প্রচুর পরিমাণে শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। কিন্তু সরকার নিয়োগ করছে না। যার কারণে জনজীবন মুখ থুবড়ে পড়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করেন জিতেন্দ্র চৌধুরী। আয়োজিত সভার আগে আগরতলা শহরে একটি বিক্ষোভ নিখিল সংগঠিত করা হয়। উপস্থিত ছিলেন মানিক দে সহ অন্যান্য নেতৃত্ব।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য