Thursday, July 31, 2025
বাড়িরাজ্য২৩ বছর পর অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ড দিলো আদালত

২৩ বছর পর অভিযুক্ত স্বামীকে দোষী সাব্যস্ত করে আজীবন কারাদণ্ড দিলো আদালত

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২১ জুন : স্ত্রীকে হত্যাকাণ্ডে অভিযুক্ত স্বামীর যাবজ্জীবন জেল ও জরিমানার নির্দেশ দিল খোয়াই জেলা আদালত। ঘটনা ২০০১ সালে ১৫ জুন পূর্ব রামচন্দ্রঘাট এলাকার বাসিন্দা জনৈক গোপাল দাস তার স্ত্রী জয়ন্তী দাসকে বিয়ের ছয় মাস পর নিজের ঘরে হত্যা করে বস্তা বন্দী করে ঘরের মধ্যে রেখে দেয়। পর দিন ১৬ই জুন উওরচেবরি এলাকা থেকে গৃহবধূ জয়ন্তী দাসের মা প্রতিভা দাস পূর্ব রামচন্দ্রঘাট এলাকায় মেয়ের বাড়িতে গিয়ে দেখে ঘরের দরজা খোলা। বাড়িতে কেউ নেই। ঘরে প্রবেশ করে একটা বস্তা দেখতে পায়।

 বস্তা খুলে দেখতে পায় মেয়ের মৃতদেহ। ঘটনাস্থলে যায় খোয়াই থানার পুলিশ। পরবর্তী সময়ে গৃহবধূর জয়ন্তী দাসের মা প্রতিভা দাস খোয়াই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। সেই লিখিত অভিযোগ মূলে পুলিশ তদন্ত শুরু করে। তদন্ত প্রক্রিয়া শেষ করে ২০০১ সালের ৩১ শে অক্টোবর ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২/ ২০১ ধারায় আদালতে চার্জশিট পেশ করে মামলার তদন্তকারী অফিসার সাব ইন্সপেক্টর রুনু দে। এই মামলাটি খোয়াই জেলা অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালতে উঠার পর ২০১৩ সালে গোপাল দাস খোয়াই থেকে পালিয়ে আসাম রাজ্যে চলে যায়।

 তার বিরুদ্ধে আদালত ওয়ারেন্ট ইস্যু করে। গত ২৬ শে এপ্রিল গোপাল দাস ভোট দিতে পূর্ব রামচন্দ্রঘাট এলাকায় আসলে সেখান থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। পুলিশ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে পূর্ব রামচন্দ্র ঘাট তার আত্মীয় বাড়ি থেকে গোপাল দাসকে গ্রেফতার করে। আদালতে শুনানি চলাকালীন ১৩ জনের সাক্ষী গ্রহণ করে। শুক্রবার খোয়াই জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারপতি মানবেন্দ্র দেববর্মা স্ত্রী হত্যাকান্ডে অভিযুক্ত ও তথ্য প্রমাণ লোপাটের কারণে গোপাল দাসকে দোষী সাব্যস্ত করে ৩০২ ধারায় আজীবন কারাদন্ড ও ২০১ ধারায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড এবং ৫ হাজার টাকা জরিমানার আদেশ দেয়। সরকার পক্ষে এই মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী বিকাশ দেব। উল্লেখ্য, আসামি গোপাল দাস আসামের করিমগঞ্জে পালিয়ে গিয়ে একটি বিয়ে করে। করিমগঞ্জে তার দুই ছেলে ও স্ত্রী রয়েছে।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!