স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জুন : বৃহস্পতিবার সকালে মহারাজা বীর বিক্রম ওয়েলফেয়ার সোসাইটির হোস্টেলে ছাত্রীরা অসুস্থ হয়ে যাওয়ার পর জিবি হাসপাতালে ছাত্রীদের দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী ডাক্তার মানিক সাহা। এদিন দুপুরে ছাত্রীদের দেখতে গিয়ে তিনি হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সাথে কথা বলেন। তারপর হাসপাতালে ভর্তি থাকা এগারো জন ছাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সকালবেলা কি খাবার খেয়েছে সে বিষয়েও খবর নেন মুখ্যমন্ত্রী। তারপর সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ধারণা করা হচ্ছে বিষক্রিয়া জাতীয় খাবার খাওয়ার পর এই ঘটনা সংগঠিত হয়েছে। যার ফলে মোট ২০ থেকে ২৫ জন ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়ে।
তাদের মধ্যে ১১ জন বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। ১০ জন বোধজং স্কুলের ছাত্রী। আর একজন মহারানী তুলসীবতী বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী। তারা সকলে এক হোস্টেলে থেকে পড়াশোনা করে। তাদের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল রয়েছে। তাদের মধ্যে একজনের আবার জ্বর এসেছে। কি কারনে এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে সে বিষয়ে আধিকারিকদের রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে। ছাত্রীদের সঠিক চিকিৎসার জন্য সরকারের পক্ষ থেকে যা যা করার তা করা হবে বলে আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন ঘটনার পর জাতীয় স্বাস্থ্য মিশনের চারটি অ্যাম্বুলেন্স তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে পৌঁছে ছাত্রীদের নিয়ে আসে জিবি হাসপাতালে। ফলে সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু করা সম্ভব হয়েছে। অপরদিকে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দলের ছাত্র সংগঠন এসএফআই এবং টিএসইউ -র এক প্রতিনিধি দল জিবি হাসপাতালে ছুটে যায়।
চিকিৎসাধীন ছাত্রীদের শারীরিক সমস্যার খোঁজ-খবর নেয়। পরে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এস.এফ.আই রাজ্য সম্পাদক সন্দীপন দেব বলেন, খাবারে বিষক্রিয়া ঘটেছে কিনা সেটা পরে বুঝা যাবে। তবে ছাত্রীদের কাছ থেকে যতটা জানা গেছে তারা সকালবেলা ডাল, ভাত খাওয়ার পর সকলে একসাথে অসুস্থ হয়ে পড়ে। বিশেষ করে এই ঘটনা প্রমাণ করে রাজ্যে হোস্টেল পরিচালনার ক্ষেত্রে চরম অব্যবস্থা চলছে। খাবারে গুণগতমান বজায় থাকছে না। তাই হোস্টেলগুলির অব্যবস্থা নিয়ে সদর মহকুমা শাসকের সাথে কথা বলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে দাবি জানানো হবে। পাশাপাশি মহাকুমার শাসক কে বলা হবে চিকিৎসাধীন ছাত্রীদের সুষ্ঠু চিকিৎসার ব্যবস্থা যাতে গ্রহণ করা হয়। এদিকে খবর পেয়ে জিবি হাসপাতালে পৌঁছায় বিধায়ক গোপাল চন্দ্র রায়। তিনিও ছাত্রীদের শারীরিক অবস্থা খোঁজখবর নেন। সঠিকভাবে যাতে পরিষেবা পায় তার জন্য কথা বলেন চিকিৎসকদের সাথে।