Tuesday, December 3, 2024
বাড়িরাজ্যকালভার্ট সময়মতো নির্মাণ না হওয়ায় পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলো গ্রামবাসী

কালভার্ট সময়মতো নির্মাণ না হওয়ায় পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিলো গ্রামবাসী

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ২০ জুন : কমলপুর বিলাসছড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এসসি কলোনিতে দীর্ঘ এক বছর ধরে ভেঙে আছে চলাচল করার একমাত্র ব্রীজ। তাই চলাচলের জন্য কালভার্ট নির্মাণ করার দাবিতে এক বছর ধরে পঞ্চায়েতে দাবী জানানো হলেও কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। অবশেষে গ্রামবাসী তালা ঝুলিয়ে দিল পঞ্চায়েতে। গ্রামবাসী বক্তব্য, এলাকায় ২৫ পরিবারের বসবাস। গত এক বছর আগে ব্রীজটি ভেঙে যায়। তারপর গ্রামবাসী দাবি তোলে কালভার্ট তৈরি করে দেওয়ার জন্য।

তারপর পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে গত ৯ মাস ধরে আশ্বস্ত করা হচ্ছে টাকা অনুমোদন পেলেই তারা কালভার্ট নির্মাণ করে দেবে। কিন্তু দিনের পর দিন অতিক্রান্ত হয়ে গেলেও কালভার্ট নির্মাণের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। ফলে প্রতিদিন দুর্ঘটনায় পড়ছে মানুষ। ভাঙ্গা সেতুর উপর থেকে বিলাস ছড়ার জলে পড়ে যাচ্ছে। যেকোনো সময় মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে গ্রামবাসীর। সবচেয়ে বড় বিষয় হলো গ্রামের মানুষের যদি কোন রোগ হয় তাহলে তাকে পারাপার করার জন্য বিকল্প কোন রাস্তা নেই। তাই একমাত্র নির্ভরযোগ্য কালভার্ট সংস্কার করার জন্য দাবি জানিয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে দিল গ্রামবাসী। এদিকে সূত্রে খবর, সম্প্রতি একটি বক্স ক্যালভার্ট তৈরির জন্য পঁচিশ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। কিন্তু কোনো এক অজ্ঞাত কারণে কাজে হাত লাগানো হচ্ছে না।

বিডিও জানান, অনেকদিন আগেই কালভার্ট নির্মাণ করার জন্য অর্থের অনুমোদন হয়ে গেছে। কিন্তু আবহাওয়ার কারণে কাজ ধরা সম্ভব হচ্ছে না। চলাচলের জন্য প্রাথমিক ব্রীজ স্থাপন করা হবে। সাথে শুরু হবে নতুন ব্রিজের কাজ। সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে এ বিষয়ে জানান ব্লকের বিডিও। এই বিষয়ে গ্রামের প্রধানকে প্রশ্ন করা হলে তিনি নিজেও জানান দীর্ঘ দিন ধরে এসসি কলোনি যাওয়ার রাস্তার মাঝে থাকা কাঠের ব্রিজটি বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে। এই বিষয়ে তিনি বহুবার ব্লকে গিয়েছেন। পাকা ব্রিজের জন্য অর্থ মঞ্জুর করা হয়েছে। টেন্ডারও করা হয়েছে। কিন্তু যিনি কাজের বরাত পেয়েছেন তিনি ৯ মাস হয়ে গেলেও কাজ শুরু করছেন না। এদিকে এই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন দুর্গা চৌমুহনি পঞ্চায়েত সমিতির চেয়ারম্যান সম্পা দাস, বিডিও সমীর দাস, ভাইস চেয়ারম্যান তাপস পাল, ওসি সঞ্জয় লস্কর সহ কমলপুর থানার পুলিশ। তারপর গ্রামবাসী বিডিও -র কাছ থেকে আশ্বাস পেয়ে তালা খুলে দেয়।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য