স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৮ জুন : গত ১৩ ও ১৫ জুন মন্ত্রী সভার বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, রাজ্য সরকার যেহেতু স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখছে তাই পরিকাঠামোগত উন্নয়নের প্রয়োজন রয়েছে। এই পরিকাঠামোগত উন্নয়ন করতে যথেষ্ট আন্তরিক সরকার। এরই অঙ্গ হিসেবে রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ দপ্তরে ২২৬ জন জেনারেল ডিউটি মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকবে এম.বি.বি.এস ডিগ্রী। টি পি এস সি মাধ্যমে এই নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হবে।
আরো একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হয়েছে মন্ত্রী সভার বৈঠকে। সে সিদ্ধান্তটি হলো ১৬ টি শূন্য পদে মেডিকেল অফিসার সুপার স্পেশালিস্ট এবং ১৭২ টি শূন্য পদে স্পেশালিস্ট মেডিকেল অফিসার নিয়োগ করা হবে। এর জন্য বাধ্যতামূলক করা হয়েছে পি আর টি সি। পাশাপাশি বাংলা ও ককবরক ভাষা জানতে হবে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করে মন্ত্রী সভার এই গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তটির কথা জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী। এছাড়াও অগ্নিনির্বাপক দপ্তরে ৪৯ জন সাব অফিসার পদে নিয়োগ করা হবে। এটাও টি.পি.এস.সি -র মাধ্যমে নিয়োগ করা হবে।
পাশাপাশি খাদ্য, জনসংভরন ও ক্রেতাস্বার্থ বিষয়ক দপ্তরে ছয়জন সাব ইন্সপেক্টর পদে নিয়োগ করা হবে। সাংবাদিক সম্মেলনে মন্ত্রী আরো বলেন, এম.বি.বি বিমান বন্দর ইমিগ্রেশন পাবে এবং আগরতলা – ঢাকা ও চিটাগাং -এর মধ্যে উড়ান পরিষেবা চালু করতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত মন্ত্রীসভার বৈঠকে গ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার। দ্রুত পরিষেবা চালু করার জন্য কেন্দ্র সরকারকে অবগত করা হয়েছিল। কেন্দ্র সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ইতিমধ্যে পরিষেবা চালু করার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে সি.আই.এস.এফ নেই। তাই রাজ্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে অবসরপ্রাপ্ত ৬৭ জন পুলিশ অফিসারকে এম.বি.বি বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন দেওয়ার জন্য। এই অবসরপ্রাপ্ত ৬৭ জন পুলিশ অফিসারের সাথে থাকবেন বর্তমানে চাকরিরত আরো পুলিশ অফিসার। মোট ৮৫ জন পুলিশ অফিসারকে এম.বি.বি বিমানবন্দরে, নিশ্চিন্তপুর রেলস্টেশনে এবং সাব্রুম আই.সি.পি চেকপোস্টে দায়িত্ব দেওয়া হবে। তারা অত্যন্ত দক্ষতার সাথে দায়িত্ব পালন করবে বলে অভিমত রাজ্য সরকারের। কারণ তারা সকলেই অভিজ্ঞতা সম্পন্ন। তাই এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় তাদের দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে। এমনটাই জানান মন্ত্রী সুশান্ত চৌধুরী।