স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১৭ জুন : তেলিয়ামুড়া মহকুমার অন্তর্গত মুঙ্গিয়াকামী আর.ডি ব্লকের অধীন প্রত্যন্ত এলাকা গুলোর মধ্যে অন্যতম নোনাছড়া এডিসি ভিলেজের প্রজাবাহাদুর মলসুম পাড়া এলাকা। এলাকায় বসবাসরত গিরিবাসীদের আয় উপার্জনের মাধ্যম হল জুম চাষ। আসাম আগরতলা জাতীয় সড়কের চাকমাঘাট থেকে দীর্ঘ পাহাড়ি চড়াই উৎরাই পথ পাড়ি দিয়ে পৌঁছাতে হয় এই প্রজাবাহাদুর মলসম এলাকায়।
এলাকাটিতে প্রায় ৬০ পরিবারের বসবাস যার বেশির ভাগই জুমিয়া। প্রতি বছরের ন্যায় গতবছরও জুমের চাষ করে তারা। কিন্তু ফলন ভালো হয় নি। ফলে আর্থিক ভাবে দুর্বল হয়ে পরে জুমিয়ারা। বাধ্য হয়ে বিকল্প পথ খোঁজার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু দুর্গম অঞ্চল হওয়ায় এলাকায় বেশী কাজও থাকে না সবসময়। আর সমতল এলাকায় আসতেও অনেক টাকা ভাড়া দিতে হয়। সরকারি ভাবে সাহায্য সহযোগিতা পেলে এই সমস্যা থেকে কিছুটা নিস্তার পাবে বলেও আশা ব্যাক্ত করে জুমিয়া পরিবারের সদস্যরা। এবছরও বংশ পরম্পরা ধরে চলে আসা জুমে ধান চাষ করা শুরু করেছেন। বছরের বৈশাখ জৈষ্ঠ মাসে বীজ রোপন করে ভাদ্র, আশ্বীন মাসে ফসল ঘরে তুলে উনারা। কিন্তু সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় গত বছরের ন্যায় এবছরও ক্ষতির সম্মুখীন হওয়ার আশঙ্খায় রয়েছেন জুমিয়া পরিবার গুলো। ধান ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের সব্জি চাষ ও করেন উনারা, সাড়া বছরের সংসার প্রতিপালনের জন্য বেশিরভাগ অর্থের জোগান হল এই এলাকার গিরিবাসীদের প্রধান মাধ্যম জুম চাষ। কিন্তু জুমের ফলন ভালো না হলে আর্থিক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় তাদের। নিজ উদ্যোগে করে আসা জুম চাষে সরকারি সাহায্য সহযোগিতা পেলে এই জুমিয়া পরিবার গুলো অর্থনৈতিক ভাবে অনেকটাই সক্ষম হতে পারবে বলে আশা ব্যাক্ত করেন জনৈক জুমিয়া।