Wednesday, July 30, 2025
বাড়িরাজ্যজামাইষষ্ঠী উৎসব ঘিরে ব্যাপক আয়োজন রাজ্যে, বাজার ছিল ভালো-মন্দে ভরা

জামাইষষ্ঠী উৎসব ঘিরে ব্যাপক আয়োজন রাজ্যে, বাজার ছিল ভালো-মন্দে ভরা

স্যন্দন ডিজিটাল ডেস্ক। আগরতলা। ১২ জুন : বুধবার জামাই ষষ্ঠী। কোন কালের মতোই জামাই ষষ্ঠীর আয়োজনে কোনও কমতি রাখতে চায় নি শাশুড়িরা। আর এই বিশেষ দিনটি জামাইরাও দিব্যি উপভোগ করেন। বছরে এই একটা দিনে জামাতাকে ঘিরে আয়োজন হয় এলাহি। এদিন জামাইকে আদর আপ্যায়ন করে দীর্ঘায়ু কামনা করা হয়। তবে কর্পোরেট সংস্কৃতিতে জামাই ষষ্ঠীর কিছুটা পরিবর্তন ঘটেছে। বিস্তার ফারাক রয়েছে জামাই ষষ্ঠীর। বহু নিয়ম-কানুন রয়েছে এই জামাই ষষ্ঠীর।

 এগুলি সম্পর্কে ততটা আগেকার দিনের মতো অবহিত না হলেও বেঁচে রয়েছে এই সংস্কৃতি। আজ ঘরে ঘরে দেখা যায় জামাইয়ের মঙ্গলকামনায় শাশুড়িরা হলুদ ও সর্ষের তেলে ডোবানো মোটা সুতো জামাইয়ের হাতে বেঁধে দেন। যা বলা হয় বানা। তারপর রীতিনীতি অনুযায়ী তালপাতার পাখা, গোটা আম, দুর্বা, প্রদীপের তাপের উপচারে জামাই-বরণ না করে কিছু খায় না শাশুড়িরা। তবে অনেক বাড়িতেই জামাইকে পাখার বাতাস করার রেওয়াজ নেই। তবে জামাইষষ্ঠী জামাইষষ্ঠীই। যাই হোক এদিন সকাল থেকে রাজধানীর বাজারগুলিতে ছিল ক্রেতাদের উপচে ভিড়।

মাছ বাজারে দেখা গিয়েছিল এদিন ইলিশ মাছ কেনার জন্য শশুর শাশুড়িদের দৌড়ঝাঁপ। বটতলা ও মহারাজগঞ্জ বাজারে দেখা গেছে ইলিশ মাছের দোকানে ভিড় ক্রেতাদের। এবং ইলিশ মাছ ছিল তিনটি ধাপে মূল্যায়ন করে মূল্য নির্ধারণ রয়েছে। ১২০০, ১৫০০ এবং ১৮০০ টাকা দরে ইলিশ মাছ বিক্রি হয়। এক ইলিশ মাছ বিক্রেতা বলেন, বাজার এবার বেশ ভালো জমজমাট। মানুষ এসে পদ্মার কাচা ইলিশ মাছ ক্রয় করছে। এবং ইলিশ মাছের চাহিদাও রয়েছে।

অপরদিকে কাতল, চিংড়ি, বোয়াল সহ অন্যান্য মাছ নিয়ে বসা দুই বিক্রেতা জানায় বাজারে মন্দ অবস্থা চলছে। অন্যান্য বছরের মত এবার বাজার জমে নি। অপরদিকে পাঁঠার মাংস এবং পোল্টির মাংস বেচা বিক্রির উপস্থিত ছিল বড় ফারাক। এক পোল্টির মাংস বিক্রেতা জানান, গরমের জন্য মানুষ বাজারে আসতে চাইছে না। পোল্টির মাংস নেট ২৭০ টাকা কেজি এবং আস্তা ১৭০ টাকা কেজি। দেশি মোরগের মানুষকে ৬০০ টাকা কেজি। অন্যদিকে পাঁঠার মাংস এদিন লক্ষ্য করা গেছে ১০০০-১২০০ টাকা কিলো। জামাইকে মিষ্টিমুখ করাতে মিষ্টির দোকানে ছিল দীর্ঘ লাইন। রাজধানীর নেতাজি চৌমুহনি স্থিত এক মিষ্টি বিক্রেতা জানান, বেচা বিক্রি বেশ ভালো রয়েছে। অপরদিকে অন্য এক মিষ্টি বিক্রেতা জানান অন্যান্য বছরে তুলনায় তেমন বেচা বিক্রি নেই। সব মিলিয়ে জামাই ষষ্ঠীর বাজার জমে উঠেছে। মুখে হাসি ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের।

সম্পরকিত প্রবন্ধ

সবচেয়ে জনপ্রিয়

সাম্প্রতিক মন্তব্য

error: <b>Alert: </b>Content selection is disabled!!